সোমবার উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আগামী চার বছরের জন্য তাঁকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। গত ১৩ অগাস্ট মহুয়া দাসকে অপসারিত করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। তার পরিবর্তে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই দায়িত্ব নিতে চলেছেন বলে জানানো হয়। আজ সল্টলেকের বিদ্যাসাগর ভবনে গিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি।
নতুন পদের দায়িত্ব পেয়ে তিনি খুশি বলে জানান চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদ উভয়ই তিনি সামলাবেন। এতদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য হিসেবেই নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
ফুলের তোড়া দিয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে স্বাগত জানান উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের প্রাক্তন সভানেত্রী মহুয়া দাস। মহুয়া দাসকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন জল্পনা শোনা গেলেও, এই দাবি মানতে চাননি তিনি। মহুয়া সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় জানান,"দীর্ঘদিন ধরে আমি এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বতে আছি। আমার ৬২ বছর বয়স হয়েছে। আমার কার্যকাল শেষ হয়েছে।" পাশাপাশি চিরঞ্জীব বাবুকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন,"একজন যোগ্য মানুষকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি খুবই খুশি।
মহুয়াদেবী এও জানিয়ে দেন, কোভিডের জন্য কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। কর্মীরা আসতে পারেননি। এরই মধ্যে ফলপ্রকাশ করতে হয়েছে। তাঁর সময়কাল মসৃণই ছিল। চিরঞ্জীববাবু একজন সুদক্ষ প্রশাসক। তিনি ভালোভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে আশাবাদী মহুয়াদেবী।
অন্যদিকে, নতুন দায়িত্ব পেয়ে চিরঞ্জীববাবু জানান,"সম্পূর্ণ নতুন একটি দায়িত্ব নিতে চলেছি। আমি নিজেও উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র ছিলাম। এবছর করোনা মহামারির কারণে কিছু ভুলত্রুটি রয়ে গেছে। পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরীক্ষা না হওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল বলে আমার একেবারেই মনে হয় না। যাদবপুর আমার নিজের জায়গা হলেও নতুন দায়িত্ব পেয়ে আমি খুশি।"