scorecardresearch
 

Chopra Women Beaten Up Viral Video : শরিয়ত আইন চলছে? চোপড়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন কঙ্গনার

'চোপড়ার ঘটনা সবাই অবাক। গোটা দেশে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, মহিলাকে প্রকাশ্য়ে মারধর করা হচ্ছে। সবার সামনে। যেন শরিয়ত আইন সেখানে কার্যকর হয়েছে।'

Advertisement
Chopa Viral Video Chopa Viral Video
হাইলাইটস
  • 'চোপড়ার ঘটনা সবাই অবাক'
  • পশ্চিমবঙ্গে শরিয়ত আইন চলছে?
  • প্রশ্ন কঙ্গনা রানাওয়াতের

চোপড়ায় যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ঘটনায় সরব বিজেপি সাংসদ-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন তিনি। কঙ্গনার প্রশ্ন, এভাবে কি শরিয়ত আইন চলবে যে কোনও রাজ্যে? কেন একটা রাজ্যে এভাবে প্রকাশ্যে যুগলকে মারধর করা হবে? 

চোপড়ার ঘটনা সামনে আসার পর বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী এই কাণ্ডের সমালোচনা করেন। সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে কঙ্গনা রানাওয়াত চোপড়া কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধীকে একহাত নেন। তাঁর অভিযোগ, সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে এই ইস্যুতে বারবার সরব হচ্ছেন বিরোধী INDIA জোটের নেতারা। অথচ কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে সেই সংবিধানকে মানা হচ্ছে না। 

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কঙ্গনা বলেন, 'চোপড়ার ঘটনা সবাই অবাক। গোটা দেশে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, মহিলাকে প্রকাশ্য়ে মারধর করা হচ্ছে। সবার সামনে। যেন শরিয়ত আইন সেখানে কার্যকর হয়েছে। আমি ইন্ডিয়া ব্লকের সঙ্গী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে চাই, তাঁরা সংবিধান নিয়ে যে নাটক করছেন, তা কি কাম্য? যে কোনও রাজ্যে এভাবে শরিয়ত আইন চালানো যায়? ওদের বিধায়করা বলে থাকেন, এটা হল মুসলিম রাজ্য। আমার প্রশ্ন, সংবিধান অনুযায়ী কি একটা রাজ্যকে এভাবে মুসলিম রাজ্য বলা যায়? এভাবে শরিয়ত আইন চালু করা যায়? আমি তো রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করতে চাই। তৃণমূলও তো ইন্ডিয়া ব্লকের জোট সঙ্গী। তাদেরও উত্তর দিতে হবে। তারা কেন সংবিধান নিয়ে নাটক করছেন? তাঁদের কি এটা মানায়?' 

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাজম্মুল ওরফে জেসিবি এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছে। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একইসঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায়। ঘটনা নিয়ে সব মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। তৎপর হয় পুলিশও। 

Advertisement

ইসলামপুরের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানও শুরু হয়। এবং সন্ধের মধ্যেই জেসিবিকে গ্রেফতার করা হয়। 

জেসিবি চোপড়ার বেশ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, সে বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেসিবি-র বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলাও রয়েছে।


Advertisement