চিপস চুরির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ সামলাতে না পেরেই বিষ খেয়ে 'আত্মঘাতী' হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। চিরকুটে ওই ছাত্র লিখেছেন, 'মা, আমি চুরি করিনি...।' রুপোলি পর্দায় প্রসেনজিতের সেই বিখ্যাত সংলাপ নিয়ে অনেকেই মশকরা করে থাকেন। কিন্তু সেই সংলাপ যে এমন একটা মর্মান্তিক পরিণতির সঙ্গে জুড়ে যাবে, তা বোধহয় কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এই ঘটনায় দোকান মালিক তথা সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। চিপস চুরির অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার ওই কিশোরকে শাস্তি দেওয়াতেই নাকি অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে সে, এই অভিযোগই উঠেছে। শোরগোলের মধ্যে এবার প্রকাশ্যে এল এক সিসিটিভি ফুটেজ। যে ফুটেজে ওই কিশোরকে বরং আগলাতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।
সিসিটিভি ফুটেজে কী দেখা গিয়েছে?
ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি দোকানের সামনে সাইকেল নিয়ে এসে দাঁড়াচ্ছে এক কিশোর। সাইকেল রেখেছে সে। দোকানের সামনে পড়ে রয়েছে চিপসের প্যাকেট। কিছুক্ষণ ধরে সেখানে দাঁড়ানোর পর পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটটি কুড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায় সে। পরে দেখা যায়, দোকানে ওই কিশোর দাঁড়িয়ে। তার সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মা। কথাবার্তা চলছে দোকানের মধ্যে। হঠাৎই, কান ধরে ওঠবোস করতে শুরু করে ওই কিশোর। তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক তথা সিভিক ভলান্টিয়ার ছুটে এসে কিশোরকে কাছে টেনে নেন। কিশোরের পিঠে স্নেহের মতো হাত বোলাতেও দেখা যায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in)।
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাটি ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। তা হলে কি সিভিক ভলান্টিয়ার নির্দোষ?এই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকে।
ঠিক কী ঘটেছে?
সম্প্রতি পাঁশকুড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এক কিশোর দোকান থেকে চিপস চুরি করেছে বলে অভিযোগ। তার নামে চুরির অপবাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই অপমান সইতে না পেরে ঘরে গিয়ে বিষ খায় কিশোর। অসুস্থ অবস্থায় তাকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। একটি চিরকুটে পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা আছে, 'মা, আমি বলে যাচ্ছি যে, আমি কুড়কুড়িটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম, চুরি করিনি।'
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ ওঠে, দোকান মালিক তথা সিভিক ভলান্টিয়ারের তাকে মারধর করেছেন এবং চুরির অপবাদ দিয়েছেন। যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুক্রবার ওই সিসিটিভি ফুটেজ অবশ্য অন্য কথা বলছে। যা ঘিরে পাঁশকুড়ার এই ঘটনা নতুন করে আলোচনায়।