scorecardresearch
 

Arvind Kejriwal-CM Mamata Banerjee: মিরাকল হলে ৬ মাসের আগেও পড়ে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, কেজরিওয়ালকে পাশে নিয়ে ইঙ্গিত মমতার

লক্ষ্য ২০২৪। সেই লক্ষ্যকে পাখির চোখ করে এদিন দিল্লি, পঞ্জাব ও বাংলার তিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হল নবান্নে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সমস্ত বিরোধী দলকে সততার সঙ্গে জনতার জন্য কাজ করতে দেয় না দিল্লি।

Advertisement
নবান্নে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য বৈঠক নবান্নে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য বৈঠক
হাইলাইটস
  • অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত মান ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য বৈঠক হয়
  • মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সমস্ত বিরোধী দলকে সততার সঙ্গে জনতার জন্য কাজ করতে দেয় না দিল্লি

Mamata Banerjee Nabanna Meeting: লক্ষ্য ২০২৪ (Lok Sabha Election 2024)। সেই লক্ষ্যকে পাখির চোখ করে এদিন দিল্লি, পঞ্জাব ও বাংলার তিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হল নবান্নে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann) ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৌজন্য বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সমস্ত বিরোধী দলকে সততার সঙ্গে জনতার জন্য কাজ করতে দেয় না দিল্লি। উঠে আসে অভিষেক প্রসঙ্গও। ২০২৪-এ বিজেপির বিরুদ্ধে একত্র হয়ে লড়ার বার্তা দেন। এ-ও বলেন, "আর তো ৬ মাস, মিরাকল হলে তার আগেও গদি হারাতে পারে কেউ। তাই এজেন্সিকে বকেঝকে এই করো সেই করো বলে নির্দেশ দিচ্ছে।"

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা এদিন বলেন, "অভিষেকের বাড়িতে সেদিন এসে নোটিস দেয় তারা। আমরা কি তাদের চাকর? অহংকারের একটা সীমা থাকা উচিত। বিজেপির নেতা সরাসরি হুমকি দিচ্ছে কাকে, কবে গ্রেফতার করা হবে, এজেন্সি যাবে! বিজেপির চুনোপটিদের কাছে কীকরে এসব তথ্য যায়? তারা কি সংবিধান বদলে দেবে? তারা সুপ্রীম কোর্টের আদেশও মানছে না! আমি অবাক! ২০০০-এর নোট তো আগেই আনতে বারণ করেছিলাম আমরা। কী এমন হল হঠাৎ? দেশের সব মানুষ ভুগছে। মণিপুরের অবস্থা দেখুন শোচনীয়।"

মমতা আরও বলেন, "বিশেষ করে দিল্লির ওপর সারা ভারতবর্ষে বর্বরতা চলছে। একমাত্র সুপ্রীম কোর্ট দেশকে বাঁচাতে পারে। সুপ্রীম কোর্টের শুনানির পরও দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকার অর্ডিন্যান্স এনেছে। তারা দেশের বিচার বিভাগ, এজেন্সিকে কিনে নিয়েছে। আমরা যদি এই সময়ে সব বিরোধী দল একত্র হই, তাহলে অনেক বড় বার্তা যাবে, আমরা ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে পারি। আমরা এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করব। তাতে অর্ডিন্যান্সও যেতে পারে। সুপ্রীম কোর্টে আমরা বিচার চাইব।"

Advertisement

এদিন, কেন্দ্রের ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন কেজরিওয়ালও। মমতাকে 'বড়দিদি' বলে সম্বোধন করে কেজরিওয়াল বলেন, "২০১৫ সালে আমরা জিতে ক্ষমতায় এসেছি। তারপর নোটিফেকশন পাশ করে আমাদের হাত থেকে সমস্ত শক্তি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রীম কোর্টের আদেশ বদলে দিল। আট বছর পর্যন্ত দিল্লির মানুষ সংঘর্ষ করেছে। বিজেপির সরকার যেখানে নেই সেখানে বিধায়ক কিনে সরকার ফেলে বিজেপির সরকার গড়ে। যেখানে বিজেপির সরকার গড়তে পারে না ইডি-সিবিআই দিয়ে বিধায়কদের ভয় দেখায়। আর নয়তো রাজ্যপালকে দিয়ে রাজ্য সরকারকে উত্যক্ত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানাতে আমরা তা দেখছি। এরা সুপ্রীম কোর্টও মানে না এতই অহংকার। দেশের এই অহংকারী সরকারকে উচ্ছেদ করা উচিত।" 

প্রথমবার বাংলায় এসে মমতাকে ধন্যবাদ জানান পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। মমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এদিন  বৈঠকে দিল্লির আপ মন্ত্রী অতিশী মার্লেনা এবং আপ সাংসদ রাঘব চড্ডাও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement