মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ওয়াকফ সম্পত্তির বিবরণ আপলোড করছে রাজ্য সরকার। ওয়াকফের বিরোধিতার পর হঠাৎ তথ্যের বিবরণ আপলোড করায় দ্বিচারিতা বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গেই মুর্শিদাবাদের সভা থেকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, 'আমরা কোনও ধর্মস্থানে হাত দিতে দেব না।'
'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওয়াকফ নিয়ে আমরা কিছু করিনি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা বিধানসভায় আইন পাশ করেছিলাম, জোর করে অবৈধভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না। ৮২ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেব আমরা আসার আগেই কেন্দ্রীয় পোর্টালে ছিল। এখন যে পোর্টালে আপলোড করেছি সেটা রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আগে ওয়াকফ বোর্ড আপলোড করত, এখন আপলোড করবে মোতওয়ালিরা। তারপর রাজ্য সরকারকে দেবে। আমরা কোনও ধর্মস্থানে হাত দিতে দেব না। কারও সম্পত্তি কেউ বেদখল করবে না। মিথ্যা প্রচারে কাজ হবে না', বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিরোধীদের দাবি ওয়াকফ নিয়ে তলে তলে সবই মানছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত করার জন্য গত ৬ জুন একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশিকায় ‘উমিদ’ পোর্টালের কথা বলা হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, ভারত জুড়ে সব ওয়াকফ সম্পত্তির বিবরণ ছ’মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর।
মমতার এদিন আরও বলেন, "গত কয়েক দিন ধরে কিছু দুষ্কৃতী গুজব রটাচ্ছে, রাজ্য সরকার কালেক্টরে খতিয়ান নম্বর ১ এ ধর্মীয় স্থানগুলো মসজিদ কবরস্থান হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মিথ্যে কথা। সব ধর্মেই কিছু গদ্দার থাকে, যারা বিজেপির টাকা খেয়ে মিথ্যা প্রচার করে। মনে রাখবেন এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেরিয়ে গিয়েছে। আমার মুখে অন্যের কথা বসানো হচ্ছে। ওদের অনেক টাকা, নোটবন্দির টাকা, চুরির টাকা.. সব টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে একটা করে মালা পরে আসছে! অথচ মানুষের জন্য টাকা নেই। করে লুঠ, আর বলে ঝুট!"