CM Mamata Banerjee: 'এবার আমি যাব, দেখি কত বড় হিম্মত!' আগরতলায় TMC প্রতিনিধিদের হেনস্থায় চ্যালেঞ্জ মমতার

ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে উত্তরবঙ্গে থেকে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ত্রিপুরায় বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
'এবার আমি যাব, দেখি কত বড় হিম্মত!' আগরতলায় TMC প্রতিনিধিদের হেনস্থায় চ্যালেঞ্জ মমতারমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে উত্তরবঙ্গে থেকে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ত্রিপুরায় বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "ত্রিপুরায় আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর হয়েছে। ওখানে যা চলছে...আমাদের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের আটকে দিল। প্রিপেইড ট্যাক্সিও নিতে দিল না। বাইকেও যেতে দিচ্ছিল না। আমি বাধ্য হয়ে বলি হেঁটেই যেতে। তারপর ওরা হাঁটতে শুরু করে। তাও যদি যেতে না দেয় আমি বলেছিলাম আমিও যাব। হিম্মত থাকলে আটকে দেখাক।"

ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, "ত্রিপুরায় আগে অভিষেকের গাড়িও ভাঙা হয়েছিল। দোলা সেন, সুস্মিতা দেবের গাড়িতে হামলা হয়েছিল, তখন ডবল ইঞ্জিন কোথায় ছিল? এরা অশান্তিকে প্রশ্রয় দেয়। আগে নিজের ঘরে তাকান।"

তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙায় এদিন কুণাল, সায়নীরা ত্রিপুরা পৌঁছতেই শুরু হয় উত্তেজনা। বুধবার সকাল থেকেই নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় আগরতলা বিমানবন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আগরতলা পৌঁছতেই পুলিশি জটিলতা শুরু হয়। অভিযোগ, দলের জন্য নির্ধারিত চারটি গাড়ির মধ্যে তিনটিকে কোনও কারণ ছাড়াই আটকে দেয় পুলিশ। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বিমানবন্দরের সামনেই বসে পড়েন ধর্নায়। এরপর ট্যাক্সি করারও চেষ্টা করেন তাঁরা। সেখানেও তুমুল জটিলতা তৈরি হয়। শেষমেশ পায়ে হেঁটেই রওনা হন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। 

এদিন উত্তরবঙ্গ পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উদ্ধারকাজ শেষ। বিডিও-এসডিএম সবাই কাজ করছে। প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। দু'টি পরিবার নেপাল ও ভূটানের। ২-৩ জন বাকি আছে ডিএমরা ত্রাণ দিয়ে দেবেন। কম্বল, হলুদ গুঁড়ো, চাল, ডাল সব পাঠানো হয়েছে। ৪০০-৫০০টি পরিবারকে ত্রাণ পাঠিয়েছি। 

এদিন তিনি দুর্যোগ-দুর্ভোগের পর বিমানের ভাড়া কেন বাড়ানো হচ্ছে সে প্রসঙ্গেও গর্জে ওঠেন। 

খগেন মুর্মুর ওপর হামলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পক্ষপাতদুষ্ট কথা বললে খারাপ লাগে। গণতন্ত্রের বড় বড় কথা বলে বিজেপি। বন্যায় বাংলাকে এক পয়সাও দেয় না কেন্দ্র। খগেন মুর্মুর কানে অল্প আঘাত লেগেছে। ডায়াবেটিস না থাকলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যেতেন।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement