নবান্নে হঠাৎই একাধিক দফতরে ঢুঁ মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে পৌঁছে প্রথমেই ১৪ তলায় নিজের দফতরে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। সটান পৌঁছে যান ৬ তলায় ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরে। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যান নবান্নের ১২ তলায়। সেখানে রয়েছে রাজ্যের অর্থ এবং বাজেট দফতর। এদিন ডিপার্টমেন্ট ভিজিটের সময় আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর দফতর পরিদর্শন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
প্রসঙ্গত, নবান্নে অন্য দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর ঢুঁ মারার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে গত ১৫ মার্চ নবান্নের ৫ তলায় পার্বত্য বিষয়ক দফতরেও হঠাৎ হানা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক কয়েকদিন আগেই ডি এ আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট ডেকেছিলেন। সেইদিন ওই দফতরে হাজিরাও বেশ কম ছিল। সেদিন দুপুরে দফতর পরিদর্শন করতে গিয়ে বহু চেয়ার ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। টেবিলে স্তূপাকার হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন ফাইলও। দফতরের সেই ছবি দেখে কার্যতই বিরক্তি ফুটে উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।
দিন দিয়েক আগেই নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে ডি এ আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের সেদিন একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, 'আমি মিছিল মিটিংয়ের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কোনও সরকারি কর্মচারী সপ্তাহে ২-৩ দিন অফিসে না গিয়ে যদি মিছিল করেন, তা হলে মানুষ পরিষেবা পাবে কী করে? কেন সার্ভিস রুল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? মিছিল করতে হলে অফিস টাইমের বাইরে করুন। না হলে এটা কি ব্রেকিং অফ সার্ভিস কনডাক্ট রুল হয়ে যাচ্ছে না'? একইসঙ্গে সিপিআইএম প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের সমালোচনাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কো-অর্ডিনেশন কমিটির লোকেরা বিভিন্ন দফতরে বসে রয়েছেন। তাঁরাই সরকারের কাজে বাধার সৃষ্টি করছে। আর তার ঠিক পরে পরেই এদিনের দফতর পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন - আবাসনের ১৮-তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে 'আত্মঘাতী' তরুণী, কামালগাজিতে চাঞ্চল্য