CM Mamata Banerjee: বাংলার প্রতিটি বাড়িতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

খুলে গেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ।

Advertisement
বাংলার প্রতিটি বাড়িতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরদিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন (বাঁ দিকের ছবি: কুণাল ঘোষ)

খুলে গেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ।

মমতা এদিন বলেন, "আজকের পর থেকে সকলের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে গেল। গত সাতদিন ধরে কলস যাত্রা হয়েছে। কাল ধ্বজা ওড়ানো হয়েছে। এই মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ পশ্চিমবঙ্গের সকলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভারতেও কিছু বিখ্যাত জায়গায় প্রসাদ যাবে। ইসকন এবার থেকে জগন্নাথ মন্দিরের সেবায় থাকবে।"

এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দারোদ্ঘাটনের অনুষ্ঠান হয়। সোমবার থেকে আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল অর্থাত্‍ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় মহাযজ্ঞ। তার জন্য এক কুইন্টাল আম কাঠ সংগ্রহ করা হয় রামনগর ও এগরা ব্লক থেকে। দেশের নানা তীর্থস্থান থেকে মঙ্গল কলসে করে আনা হয় জল। মন্দির চত্বর হয়ে উঠেছে এক মহোৎসবের কেন্দ্র।

মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আচার শুরু হয়েছে ২৮ এপ্রিল রাত থেকেই। মূল পুজোয় যুক্ত রয়েছেন ইসকনের ৬০ জন সন্ন্যাসী, এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সহ ৩৫ জনের একটি বিশেষ দল। এই মন্দিরের নির্মাণকাজে জড়িত ছিলেন রাজস্থানের ৮০০ কারিগর। এই জগন্নাথধামের প্রবেশদ্বার চারটি। সিংহদ্বারে কালো রঙের ৩৪ ফুট লম্বা ১৮ মুখী অরুণ স্তম্ভ। 

মন্দিরের ভিতরের আচার বিধি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে পালন করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল সকালে অনুষ্ঠিত হয় দেববিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। সেই মুহূর্তটি মাত্র ২০ মিনিট ছিল। সকাল ১১টা ১০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

এরপর জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিতে স্নান, বস্ত্র প্রদান, এবং অর্পণ করা হয়। ৫৬ প্রকার ভোগ। থাকছে গজা, প্যাঁড়া, রসগোল্লাসহ নানা মিষ্টান্ন।

মন্দির তৈরি হয়েছে রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথরে, পুরীর আদলে। ভেতরে রয়েছে লক্ষ্মী মন্দির, ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, গরুড় স্তম্ভ ও জগমোহন। মূল গর্ভগৃহে বিরাজ করছেন পাথরের মূর্তিতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তবে পুজো হবে নিমকাঠের মূর্তিতে। সিংহদ্বার, অশ্বদ্বারসহ রয়েছে মোট চারটি প্রবেশপথ। সিংহদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে ১৮ মুখী অরুণস্তম্ভ, যার মাথায় অরুণদেবের মূর্তি।

Advertisement

রাজ্যবাসীর জন্য এটি এক গর্বের মুহূর্ত। এই মন্দির শুধুই ধর্মীয় নয়, পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবেও দিঘাকে এক নতুন পরিচয় দেবে।

POST A COMMENT
Advertisement