SIR এর বিরোধিতায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-র নাম করে NRC করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় NRC হলে আগুন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মমতা। বিএলওদের ডেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাদের ইচ্ছেমতো কাগজ তৈরি করতে বলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন মমতা। এই সবকিছুর পিছনে দিল্লির একজন মীরজাফরের হাত আছে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। যিনি নিজেও দুর্নীতিতে যুক্ত।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুজোর পর অসম সরকার NRC-র নোটিস পাঠাচ্ছে। SIR-র নাম করে NRC করার চেষ্টা চলছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ধিক্কার। একজন মীরজাফর আছেন দিল্লিতে। NRC নিয়ে খেলার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আগুন জ্বলবে। গায়ের জোরে বাংলা দখল করতে পারবেন না। বাংলার মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে না। বাংলাকে আপনারা বঞ্চিত করেছেন। বাংলার সব প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন।"
মমতা প্রশ্ন তোলেন, 'এক বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীভাবে বলতে পারেন যে ১.৫ কোটি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে? তার মানে কি এই পরিকল্পনা বিজেপি অফিসে তৈরি করা হয়েছে? আর নির্বাচন কমিশন স্ট্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করবে? ওরা বাদ দেওয়ার কে?'
তাঁর আরও দাবি, 'এখন ভোট নয়, তাও কেন নির্বাচন অফিসারদের ডেকে বৈঠক? নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিয়োগ। দু'মাসের মধ্যে মানুষ কীকরে তথ্য দেবে? বর্ষা, বন্যায় মানুষের সব নথি ভেসে গেছে।'
এদিক বৃহস্পতিবারই পশ্চিমবঙ্গে ভোটার লিস্টে স্পেশাল ইন্টেসিভ রিভিশন বা SIR নির্বাচন কমিশন নিয়ে ডেডলাইন দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাংলায় নির্বাচনী আধিকারিকদের কমিশনের নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভোটার লিস্ট ম্যাপিংয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বাংলায় SIR প্রক্রিয়া নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, বাংলায় SIR প্রক্রিয়ায় ৪০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ। বহু জেলায় কাজ ভীষণ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। সেই সব কাজে গতি আনতেই হবে। SIR প্রক্রিয়ার কাজে গড়িমসি নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিশন। ভোটার লিস্টে অনিয়মের অভিযোগ আনে। এসবের বিরুদ্ধেই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।