কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র গোটা দেশের বাঘশুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে রাজ্যে ১০০টি বাঘ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তত ১৩০টি বাঘ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এবার জুলাই মাসে সেই রিপোর্টই প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্য বন দফতর। সুন্দরবন ও উত্তরবঙ্গের তিনটি অভয়ারণ্যের বাঘের সংখ্যা থাকবে সেই রিপোর্টে। বন দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক একথা জানিয়েছেন।
বাংলার প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন দেবল রায় বলেছেন, একটি বিশদ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, তিনটি বন সংরক্ষণ - মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক এবং বক্সা টাইগার রিজার্ভ -কে বাঘ সংরক্ষণ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। রাজ্যের মোট বাঘের সংখ্যার আনুমানিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। বিশেষ করে নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে বাঘ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে বন বিভাগ কর্তৃক গৃহীত শিকার বিরোধী বেশ কিছু পদক্ষেপ এবং স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে একটি স্থির জনসচেতনতামূলক প্রচারণার ফলে এখন ফল পাওয়া যাচ্ছে।
শেষ বাঘশুমারিতে ১০০টির মতো বাঘের উপস্থিতি জানা গিয়েছিল। সেই সংখ্যা এবার বাড়ছে বলেই আশাবাদী বন কর্মীরা। বিশেষ করে সুন্দববনে বাঘের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা। কারণ, সুন্দরবনে প্রচুর হরিণ রয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগ নিয়মিত সজনেখালি হরিণ সংরক্ষিত এলাকায় হরিণ ছেড়ে দেয়। সুন্দরবনে বন্য শূকরের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাও রয়েছে। যা একটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রকাশিত সর্বভারতীয় প্রতিবেদনে নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক এবং বক্সা টাইগার রিজার্ভের মতো জায়গায় বাঘের সংখ্যা অন্তভুক্ত না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
ক্যামেরা ট্র্যাপ চিত্রগুলি নেওরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক এবং বক্সা টাইগার রিজার্ভে বাঘের উপস্থিতি প্রকাশ করেছিল। বাঘেরা প্রতিবেশী ভুটান এবং আসাম থেকে নদীতে ঘেরা বনের করিডোর ব্যবহার করে আসতে পারত।
আরও পড়ুন-অবশেষে সুখবর! কাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়