scorecardresearch
 

Potato in cold storage: হিমঘর থেকে আলু বের করার সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি, ধর্মঘটে যেতে পারেন ব্যবসায়ীরা

রাজ্যের বাজারে আলুর দাম ও ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলার সীমান্তে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
হিমঘর থেকে আলু বের করার সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি, ধর্মঘটে যেতে পারেন ব্যবসায়ীরা হিমঘর থেকে আলু বের করার সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি, ধর্মঘটে যেতে পারেন ব্যবসায়ীরা
হাইলাইটস
  • ৩০ নভেম্বরের মধ্য়ে রাজ্য সরকার হিমঘর থেকে আলু বের করে দেওয়ার নির্দেশ
  • হিমঘর মালিকদের সংগঠনের তরফে সেটা ব্যবসায়ীদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে

রাজ্যের বাজারে আলুর দাম ও ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলার সীমান্তে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে আলু মজুত নিয়ে রিপোর্টও দিতে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁকে না জানিয়েই ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো হচ্ছে। তাতে রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সরকারি টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে, জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শুক্রবারই বৈঠকে বসছে টাস্ক ফোর্স। দুপুর ২টো নাগাদ নবান্নে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা ছাড়াও থাকতে পারেন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, রাজ্যে যা আলুর প্রয়োজন সেটা না রেখে অন্য রাজ্যে আলু যাবে না। 

এদিকে, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার হিমঘর থেকে আলু বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিপণন দফতর। হিমঘর মালিকদের সংগঠনের তরফে সেটা ব্যবসায়ীদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই ৩০ নভেম্বরের পরেও অতিরিক্ত এক মাস আলু রাখার জন্য সময় দেওয়া হয়। এবার সেরকম আর হবে না। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে থাকা সব আলু হিমঘর থেকে বের করে নিতে হবে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন জানুয়ারি-ফেব্রয়ারি পর্যন্ত পুরনো আলু রাখতে হবে। মমতা বলেন, 'আমাদের যা প্রয়োজন রাজ্যে, সেটাকে রেখে নতুন আলু যতক্ষণ না উঠছে, ততক্ষণ বাইরে আলু যাবে না।' এদিকে, এই সময়েই আবার নতুন আলু উঠতে শুরু করবে। পুরনো আলু থেকে গেলে নতুন আলুর বিক্রি নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হিমঘরে সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁরা এনিয়ে মোটেই খুশি নন। তাঁরা এটাও দাবি করছেন যে পাইকারি বাজারে আলুর দাম বাড়েনি। খুচরো বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছেন। তাতেই আম জনতার সমস্যা হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন জানিয়েছে, এখনও প্রায় ৯ লক্ষ টন আলু হিমঘরে মজুত আছে।

Advertisement

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, 'সরকারি নির্দেশ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিভ্রান্তি জারি হয়েছে। একবার বলা হল ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর খালি করতে হবে। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলু রাখতে। তাতে বিষয়টা বুঝতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ঠিক কী করতে বলা হচ্ছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। এই সময়টা চাষের সময়। চাষিরা হিমঘরে রাখা আলু বিক্রি করে নতুন বীজ, সার কেনেন। তাতে চাষিদেরও অসুবিধা হবে। আর আমাদের তো হবেই। রাস্তায় আমাদের আলুর গাড়ি ধরা হয়। আজকের বৈঠকের দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। খুচরো বাজারে আলুর দামে আলু ব্যবসায়ীদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সেটা সরকারি কাজ। আমরা আগেই বলেছিলাম যে যত আলু লাগবে আমরা সাপ্লাই করব। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে পারি। কিন্তু আমাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি আটকে, আলু পচিয়ে কোনও লাভ হয় না। কিছু মানুষের অসুবিধা হয়।'

সরকারি যদি আলু অন্য রাজ্যে যেতে না দেয় তাহলে কী করবেন? এই বিষয়ে বিভাস দে বলেন, 'আমরা সবটাই আবেদন করব প্রথমে। আমাদের সঠিক নির্দেশিকা দেওয়া হোক।  আমরা কখন নিয়ে যেতে পারব, কখন পারব না। বাইরে আমাদের টাকা পড়ে আছে। আলু আটকে দিলে ব্যবসায়ীদের টাকাও আটকে যাবে। তাই আবেদনে কাজ না হলে আমাদের কাজ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে কাজ বন্ধ আমাদের লক্ষ্য নয়। বাইরের রাজ্যে আলু গিয়েও আমাদের রাজ্যে পর্যাপ্ত থাকবে বলেই আমাদের ধারণা। এখনও যা আলু আছে তাতে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। ২-৪ টাকা সব সময় বাড়া-কমা করে।'

TAGS:
Advertisement