Cooch Behar Flight Service: কোচবিহার-কলকাতার বিমান পরিষেবা (Cooch Behar Flight Service) চালুর আগেই সংঘাত। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজই কোচবিহারে বিমান পরিষেবা সূচনা হওয়ার কথা। সেজে উঠেছে কোচবিহার বিমানবন্দর। এদিন বিমান পরিষেবা সূচনার অনুষ্ঠানে বিজেপির (BJP) ৫ বিধায়ক উপস্থিত থাকবেন। তবে থাকছেন না তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থ প্রতীম রায়। দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি থাকতে পারেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনিই বিমানটির উদ্বোধন করতে পারেন।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কথা জানিয়েছিলেন,"অনিবার্য কারণবশত আগামিকালের কলকাতা-কোচবিহারের যাত্র৩ বাতিল করা হল।" এতে শোরগোল পরে যায়।
আজ বেলা দেডটা নাগাদ বিমানযাত্রা শুরু হবে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে বিমানবন্দর চত্বরে। ফুল, ফ্লেক্সে সাজানো হয়েছে। তবে বিমান বন্দর চালুতে কৃতিত্ব কার? তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এদিন মন্তব্য করেন,"প্রধানমন্ত্রী বন্দে ভারত ট্রেন দিয়েছেন, বিমান বন্দর দিয়েছেন। তৃণমূল, সিপিএম কেউ কিছু করেনি। যা করেন মোদীজি করেন। এরা দিতেও পারে না, সহযোগিতাও করে না। নিশীথ প্রামাণিক অনেক চেষ্টা করছে।"
ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ার কোম্পানির নয় আসনের একটি বিমান কোচবিহার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। রবিবার এর ট্রায়াল রানও হয়েছে। কেন্দ্র্রীয় সরকারের ‘উড়ান স্কিম’-এর অধানে বিমান চালু হচ্ছে। কোচবিহারে বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার ফলে সহজ হয়ে যাবে ডুয়ার্স, জলদাপাড়া, গরুমারায় ভ্রমণ। পর্যটকেরা সহজেই পৌঁছতে পারবেন এই জায়গাগুলিতে। সময় বাঁচবে অনেকটা। কলকাতা (Kolkata) থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে কোচবিহার।
আপাতত এই বিমানটি ভুবনেশ্বর-জামশেদপুর-কলকাতা-কোচবিহার এই রুটে চলাচল করবে। এই রুটে বিমান চলাচল লাভজনক হলে, বড় বিমান চলাচলও শুরু করবে। ছোট রানওয়ে বাড়ানোর কাজ শেষ করা হবে। আপাতত মাস তিনেক এই ছোট বিমান চলবে। সপ্তাহে সাত দিনই উড়বে বিমান।
ভাড়া ও রুট
কোচবিহার-কলকাতা, কলকাতা-জামশেদপুর, জামশেদপুর-ভুবনেশ্বর রুটে সাত দিনই বিমান পরিষেবা চালু থাকবে। আপাতত তিন মাসের জন্য ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ার কোম্পানির কোচবিহার থেকে কলকাতা এবং কলকাতা থেকে কোচবিহার বিমানের ভাড়া থাকবে ৯৯৯ টাকা।