scorecardresearch
 

করোনায় অভিভাবক হারানো ৫০ শিশুর লেখাপড়ার ভার বনগাঁর স্কুলের অধ্যক্ষের

তিনি ঠিক করেছেন মা-বাবা হারানো শিশুদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবেন। সেইসঙ্গে তাদের পড়াবেনও। আপাতত ৫০ জন শিশুর লেখাপড়ার খরচ জোগাবেন তিনি।

Advertisement
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (ইনসেটে), এক অনুষ্ঠানে কচিকাঁচাদের তু্লে দেওয়া হচ্ছে বই সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (ইনসেটে), এক অনুষ্ঠানে কচিকাঁচাদের তু্লে দেওয়া হচ্ছে বই
হাইলাইটস
  • করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেক পড়ুয়া হারিয়েছে অভিভাবককে
  • ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছে তাদের লেখাপড়া
  • তৈরি হয়েছে সঙ্কট

করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেক পড়ুয়া হারিয়েছে অভিভাবককে। ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছে তাদের লেখাপড়া। তৈরি হয়েছে সঙ্কট। তাদের সাহায্য় করতে এগিয়ে এসেছেন বনগাঁর এক স্কুলের অধ্যক্ষ।

তিনি ঠিক করেছেন মা-বাবা হারানো শিশুদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবেন। সেইসঙ্গে তাদের পড়াবেনও। আপাতত ৫০ জন শিশুর লেখাপড়ার খরচ জোগাবেন তিনি। এর পাশাপাশি শিশু-মা-বাবাদের মনোবিদদের সাহায্যে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করবেন।

ওই অধ্যক্ষের নাম সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তিনি তিনটি স্কুল চালান। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষার ব্য়বস্থা রয়েছে সেখানে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া অর্থের একাংশ দিয়ে পড়ুয়াদের লেখাপড়ার খরচ দেবেন তিনি।

বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় রয়েছে দু'টি অনাথ আশ্রম। সেখানে ৩০ জনের মতো আবাসিক রয়েছে। তবে করোনার কারণে সমস্যায় পড়েছে তারাও।

ব্যক্তিগত উদ্য়োগে ওই আশ্রম চালাতেন দু'জন। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তাঁরা মারা গিয়েছেন। ফলে সেখানকার আবাসিকেরা পড়েছেন সমস্যায়।

সঞ্জয়বাবুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের সাহায্য করার। সোমবার তিনি জানান, ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কাজ করেন। গত ৩-৪ বছর ধরে করে আসছি।

এ কাজে অনেকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন। তাঁদের অনুরোধ করেছি, আপনারা নগদের বদলে জিনিস কিনে দিন। তা সে বই হতে পারে, খাতা হতে পারে।

অভিভাবক হারা কোন ৫০ জন শিশুর দায়িত্ব নেবেন? এ ব্য়াপারে তিনি বলেন, দেখতে পেয়েছি, করোনয় অনেক শিশু তাদের অভিভাবককে হারিয়েছে। কে মা, কেউ বাবা আবার কেউ বা মা-বাবা- দু'জনকেই। এমনই শিশুদের সাহায্য করব।

তিনি জানান, তারা স্কুল থেকে বই হয় তো পেয়ে যাবে। তবে খাতা বা লেখাপড়ার অন্যান্য জিনিস তিনি দোগাবেন। এর পাশাপাশি তাদের প্রাইভেট টিউশনের দরকার পড়বে না।

Advertisement

কারণ তাদের পড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তার। পড়ানোর কাজে তাঁর কয়েকজন বন্ধুবান্ধব এগিয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি।

লেখাপড়া শেখানো, স্কুল চালানোর পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করেন। নিয়মিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখেন। থাকেন বারাসতে।

জানাচ্ছেন, স্কুল থেকে পাওয়া অর্থ নিজের কাছে না রেখে সমাজের কাজে লাগাবেন। মোটামুটি ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত পডুয়াদের সাহায্য করার সাহায্য করার কথা ভেবেছেন।

করোনা সংক্রমণের ভয়ে সকলেই প্রায় গৃহবন্দি। এর প্রভাব পড়েছে শিশুমনে। স্কুল, খেলার মাঠ ভুলে গিয়েছে তারা। তাদের মন চাঙ্গা করে তুলতে শিশু মনোবিদকে পাশে পেয়েছেন। তিনি বলেন, শিশুরা খেলতে পারছে না। বাইরে বেরোতে পারছে না। তাই শিশু-মা-বাবাদের কাউন্সেলিং করার উদ্যোগ নিয়েছি।

 

Advertisement