সেচ দফতরের জায়গাতে ক্যানাল পাড়ে বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছিল সিপিআইএমের শাখা কার্যালয়। অভিযোগ পেয়ে সেচ দফতরের আধিকারিক ও প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেটি। দলীয় কার্যালয়ে ধুলিস্যাৎ হতে দেখে সিপিএম নেতাদের অভিযোগ- "পুরো কাজটি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে। তার কারণ কয়েক দশক ধরে ওই দলীয় কার্যালয় ছিল সেখানে।" ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর দু'নম্বর ব্লকে রানিচক এলাকার।
সেচ দফতরের জায়গায় সিপিএমের শাখা কার্যালয় গড়ে ওঠার কয়েকদিন আগে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় জেলাশাসক-সহ একাধিক প্রশাসনিক দফতরে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা অংশ। তারপরেই জেলা প্রশাসনে নির্দেশ মতো সোমবার, ১৩ জানুয়ারি বিকেল নাগাদ দাসপুর থানার পুলিশ, বাহিনী সেচ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল মাখাল, দাসপুর ব্লকের বিডিও প্রবীর কুমার সিট সহ অন্যান্য প্রশাসনের আধিকারিকের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল সিপিআইএমের রানিচক এলাকায় কংক্রিটের শাখা কার্যালয়।
যদিও এলাকার সিপিএম নেতৃত্বের দাবি- "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তাদের কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘাটাল থেকে দাসপুর গোটা এলাকায় সেচ দফতরে জায়গার উপর তৈরি হয়েছে বড় বড় বিল্ডিং, তারপরও কয়েক দশক ধরে থাকা শুধুমাত্র তাদের এই দলীয় কার্যালয়কে ভেঙে দেওয়া হল। যা পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক।"
এবিষয়ে সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল মাখাল বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশেই সেচ দফতরের জায়গায় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই রকম দাবি করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনিল রানার দাবি, এর মধ্যে চক্রান্তের কোনও ব্যাপার নেই। তাঁর দাবি, এই পার্টি অফিসটি বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল।