আনিস খানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে রাজ্য তো বটেই গোটা দেশে সাড়া পড়ে গিয়েছে। এমন শোকের আবহে হাওড়ায় সিপিএম নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল। রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ।
হাওড়ায় ৫৮ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিচিত মুখ সৌমেন কুণ্ডু। বয়স ৪২ বছর। ছোট ভট্টাচার্য্য পাড়ায় দলের শাখা সম্পাদক ছিলেন। সোমবার হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরিবারের লোক খোঁজ শুরু করে। থানায় অভিযোগও জানান হয়। গভীর রাতে তাঁর হদিশ মেলে। আবাদা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধার থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে রেল পুলিশ। রাতেই রেল পুলিশের তরফে পরিবারকে ফোন করে তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর জানান হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন সৌমেন। বাড়িত বলে যান, দুপুরে খেতে আসবেন না। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক চ্যাটার্জিহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
বলে রাখি, হাওড়ার আমতায় বাড়ি আনিসের। তাঁর রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। এ দিন সকালে হাওড়ার আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এক হোমগার্ডকে। আনিসের মৃত্যু হয়েছিল যে রাতে তখন এই তিনজন কর্তব্যে ছিলেন ওই এলাকায়। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল? পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে স্বচ্ছতার জন্য এই পদক্ষেপ। আনিসের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বে শুরুতে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাওড়া গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার। সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের জন্য সিট গঠনের ঘোষণা করেন। সন্ধেয় গঠিত হয় তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। রাজ্যের এডিজি (সিআইডি) জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী দলে রয়েছেন ডিআইজি (সিআইডি) মিরাজ খালিদ এবং বারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। ১৫ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিটকে। এমনটাই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার