scorecardresearch
 

Curzon Gate: বর্ধমানের কার্জন গেট তৈরি মমতার আমলে, TMC-র সায়নীর মন্তব্যে শোরগোল

বর্ধমান শহরের একাধিক উন্নয়ন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। এমনকি ঐতিহাসিক কার্জন গেটটিও নাকি তৈরি হয়েছে তাঁরই আমলে, এই দাবি তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই হই হই পড়ে গিয়েছে বর্ধমান তথা গোটা রাজ্যেই

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • বর্ধমান শহরের একাধিক উন্নয়ন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে।
  • এমনকি ঐতিহাসিক কার্জন গেটটিও নাকি তৈরি হয়েছে তাঁরই আমলে, এই দাবি তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের।

বর্ধমান শহরের একাধিক উন্নয়ন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। এমনকি ঐতিহাসিক কার্জন গেটটিও নাকি তৈরি হয়েছে তাঁরই আমলে, এই দাবি তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই হই হই পড়ে গিয়েছে বর্ধমান তথা গোটা রাজ্যেই। সায়নীর দাবি, বারো বছর বছর আগে নাকি ছিল না বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী কার্জন গেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে তৈরি হয়েছে গেটটি। শুধু তাই না, ঝাঁ চকচকে রাস্তা, আলো সবই তৈরি হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। পাল্টা, সায়নীকে ইতিহাস শিখে আসার পরামর্শ বিরোধী দল বিজেপির।

গত বুধবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সায়নী।  এখানেই তিনি বলেন, “১২ বছর আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে?” শতাব্দী প্রাচীন কার্জনগেটে দেখিয়ে বলেন, “ছিল এই গেট? এই ঝাঁ চকচকে রাস্তা-আলো-হাসপাতাল? সবই তৈরি হয়েছে মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ১২ বছরে।”

সায়নীর ওই মন্তব্য হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমান শহরে। সকলেই ক্ষুব্ধ হন। শহরবাসীর বক্তব্য, ইতিহাস না জেনে ভুলভাল মন্তব্য করেছেন সায়নী ঘোষ। তাঁকে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। আবার বর্ধমানের লোকজন বলছেন, চাটুকারিতা করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের অনেকেই। সায়নীও তাঁদের মধ্যে একজন। 

আরও পড়ুন

উল্লেখ্য, বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি শুরু করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটির “কার্জন গেট” নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ’। ১৯০৪-র ৪ঠা এপ্রিল, ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও বড়লাট মার্কুইস জর্জ ন্যাথানিয়ল কার্জন এই গেট উদ্বোধন করেন। তারপরে এই তোরণের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘স্টার গেট অফ ইন্ডিয়া’। নির্মাণ কাজ চলেছিল প্রায় এক বছর ধরে। পুরোটাই, বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাবের উদ্যোগে। ইতিহাস এমটাই বলে। 

Advertisement

জানা যায়, তোরণটি বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন। শহরের ঐতিহ্যবাহী গেটের ইতিহাস নিয়ে কার্যত আলটপকা মন্তব্যে সায়নীর ওপর অনেকেই চটেছেন। 
 

 

Advertisement