Banglar Bari Cut money: আবাসের টাকা ঢুকতেই ফিরল 'কাটমানি'! প্রতিবাদ করায় মারধর TMC নেতাকেই

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বাংলার বাড়ি আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই কাটমানি সন্ত্রাসের অভিযোগ। যার জেরে গ্রামে দিতে হল পুলিশি প্রহরা। উপভোক্তাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় ও সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী।

Advertisement
আবাসের টাকা ঢুকতেই ফিরল 'কাটমানি'! প্রতিবাদ করায় মারধর TMC নেতাকেইআরামবাগে আবাসের টাকা তোলার প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতাকেই মারধর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বাংলার বাড়ি আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই কাটমানি সন্ত্রাসের অভিযোগ। যার জেরে গ্রামে দিতে হল পুলিশি প্রহরা। উপভোক্তাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় ও সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আরামবাগের আরাণ্ডি-১ পঞ্চায়েতের আরাকুল গ্রামে। 

উপভোক্তাদের অভিযোগ, জোর করে কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এরকম প্রায় ১০-১২ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে গ্রামজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব গ্রামে গিয়ে উপভোক্তাদের বোঝান যে, আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। কাউকে টাকা দেবেন না। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গ্রামে পুলিশি টহল শুরু হয়েছে।

যদিও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে মুখ খোলায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে মারধর করা হয়। আরাকুল গ্রামের আবাসের উপভোক্তাদের অভিযোগ,তাঁরা দিনমজুরি ও ভাগচাষ করে সংসার চালান। তাই আবেদনের পর সরকারি বাড়ির টাকা এসেছে। কিন্তু টাকা অ্যাকাউন্টে আসার পরই এখানকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী দাবি করছে, তাদের জন্যই নাকি টাকা এসেছে। তাই তাদের কাটমানি দিতে হবে। ভয়ে কেউ ১০ হাজার, কেউ ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ছেলেমেয়েরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে। তাই যদি মারধর করে সেই আতঙ্কে তাঁরা টাকা দিয়ে দিয়েছেন। ভয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারছেন না। তবে আতঙ্কিত হওয়াটাও স্বাভাবিক। কারণ এই জুলুমবাজি নিয়ে প্রতিবাদ করায় খোদ তৃণমূল নেতাকেই ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? 

তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যারা এই ধরনের কাজ করছে, তারা দলের কেউ নয়। আমাদের নেত্রী এই ধরনের কাজ সমর্থন করেন না। আমরা উপভোক্তাদের পাশে আছি। যদিও অভিযুক্ত জানিয়েছেন, পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি কোনও টাকা নেননি। 

Advertisement

এনিয়ে বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে। তাদের দাবি, এটাই তৃণমূলের কালচার। যে সরকারি প্রকল্পেই কাটমানি দিতে হচ্ছে।

POST A COMMENT
Advertisement