সামনের সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা! বাংলায় কী প্রভাব পড়বে?মালাক্কা প্রণালী এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তি বাড়িয়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় গোটা প্রক্রিয়াটি, তা হলে সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘সেনিয়ার’। যার অর্থ সিংহ।
যদিও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবেই সেটা এখনই ১০০ শতাংশ বলা যাবে না। তবে, সম্ভাবনা আছে। নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলার উপরে কতটা পড়বে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারা এটা জানিয়েছে যে আগামী সাত দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনও আবহাওয়ার সতর্কতা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নচাপের চূড়ান্ত গতিবিধি ভারতের উপর আবহাওয়ার প্রভাবের পরিমাণ নির্ধারণ করবে।
স্কাইমেট ওয়েদারও জানিয়েছে যে আগামী সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। শনিবার আইএমডি পূর্বাভাস দিয়েছে যে ২২ থেকে ২৭ নভেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হবে, যার সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বাতাসের গতি আরও বাড়তে পারে।
আগামী পাঁচদিন বঙ্গে তাপমাত্রার পারদ একই থাকবে। কোথাও কোনও সতর্কবার্তা নেই। আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে রাতের পারদ থাকবে ১৪ ডিগ্রি কাছাকাছি। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙের কিছু জায়গায় সোমবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।