
আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানাল ভারত আবহাওয়া দফতর (IMD)। ২২ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি, যা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
এই সম্ভাব্য আবহাওয়া পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে মালাক্কা প্রণালীর কেন্দ্রীয় অংশের ওপর অবস্থানকারী একটি উচ্চ-বাতাসের ঘূর্ণাবর্তের কারণে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সিস্টেমটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে দফতর।
শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করতে করতে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এবং আগামী সপ্তাহের শেষে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। তবে বর্তমানে এই সিস্টেম এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে।
আইএমডি জানিয়েছে, ০৩০০ ইউটিসি-তে INSAT-3DS স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপর মেঘের উপস্থিতি দেখা গেছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর সিস্টেমটির শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সাইক্লোজেনেসিস সম্ভাব্যতা চার্ট অনুসারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা কম। তবে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাবনা ‘কম’ হলেও, ১৪৪ থেকে ১৬৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সম্ভাবনা ‘মাঝারি’ পর্যায়ে পৌঁছাবে।
ভুবনেশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের অধিকর্ত্রী মনোরমা মোহান্তি জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত আমরা শুধু নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিয়েছি। ২২ নভেম্বর নিম্নচাপটি তৈরি হলে তার তীব্রতা ও গতিপথ সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।'
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভাব্য নতুন বৃষ্টিপাতের খবরে উপকূলীয় ওড়িশার কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বহু কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের প্রায় পরিপক্ক ধান কাটা শুরু করেছেন। যদিও রাজ্য কৃষি দফতর এখনো কৃষকদের উদ্দেশে কোনও আনুষ্ঠানিক সতর্কতা বা নির্দেশিকা জারি করেনি।