মীনাক্ষী বলল ভুলে গেছি। মমতা হলে বলতে পারত ভুল বলেছি? রবিবার ৭ জানুয়ারি ডিওয়াইএফআই-এর মঞ্চে এভাবেই বক্তব্য শুরু করলেন মহম্মদ সেলিম।
মীনাক্ষির বক্তৃতা শেষ। ব্রিগেডের লাল তারার মঞ্চ ঘিরে ভিড়। উঠলেন মহম্মদ সেলিম। বললেন, 'বামপন্থা ও দক্ষিণপন্থা। কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী বলতে গিয়ে মীনাক্ষী বলল,ভুলে গেছি। বামপন্থীরা কখনও ভুল স্বীকার করতে ভয় পায় না। দুর্নীতিকে দুর্নীতি, অন্যায়কে অন্যায়, ভুলকে ভুল বলতে বামপন্থীরা কখনও ভয় পায় না। এটাই বামপন্থা ও দক্ষিণপন্থার পার্থক্য।'
মহম্মদ সেলিম বলেন, 'ইনসাফ যাত্রার আগের দিন কোচবিহারে যুব কর্মীদের উপর হামলা হয়েছিল। হক চাইতে হলে ধক লাগে। DYFI কর্মীরা সেই ধক দেখিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'রাজ্যের মানুষ বীতশ্রদ্ধ হচ্ছে। এই চুরি আর মিথ্যাচার দেখে। ঘরের টাকা, আবাসনের টাকা, ১০০ দিনের টাকা, রাস্তার টাকা, মিড ডে মিলের টাকা যারা চুরি করছে, রাজ্যের মানুষ তাদের শাস্তি চাইছে।'
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'আমরা যা করেছি তা মানুষের সামনে আছে। ওই নীল-সাদা রঙ করে ওরা আমাদের স্মৃতিকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। মানুষের হাতে টাকা নেই। পিসি-ভাইপো বলেছিল দিল্লি থেকে টাকা আনব। আর কেন্দ্র সরকার এসেই বলেছিল ১০০ দিনের কাজ তুলে দেব। আর আমরা চেয়েছি যাতে সবার কাজের অধিকার থাকে।'
এদিন ফের তৃণমূল-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তোলেন মহম্মদ সেলিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'অনেক খাঁই। চলে গেলেন দিল্লিতে। এখন গিয়ে খাড়গেকে বলছেন। কেজরিওয়ালকে বলছেন। যে মমতা বলেছিল যোজনা পর্ষদের বৈঠকে যাই না, সেখানেই পরে ডিনারে চলে গেলেন। একটা ডিনারের জন্য ৩ দিন থেকে এলেন দিল্লিতে।'
এরপর দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের জেলের বিষয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, 'পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রত জেলে আছে। এই সব আলু-বালু-কালু জেলে যাবে।'
মহম্মদ সেলিম আরও বলেন, 'এখানে মিডিয়াকে বলা হল ১০০ দিনের কাজের টাকা আনতে যাচ্ছে। এদিকে ওখানে গিয়ে বলল দাদা পায়ে পড়ি রে, ভাইপোটাকে বাঁচা। বিদেশিনী বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার হয়েছে। একটা কাকুর গলার স্বরে কিছুটা ধরা পড়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কীভাবে টাকা ঢুকেছে।'
সাম্প্রতিক আমলা নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক নিয়েও বলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, 'একটার পর আইএএস, আইপিএসদের পুষছে। নতুনদের নিয়োগ হচ্ছে না।'
তিনি আমলাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, 'ভোট লুট, কারচুপি করে কেউ যদি ভাবেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখবেন, তাহলে ভুল করবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ধরা পড়ার পর দিদিকে ফোন করলাম, ফোন অফ করে দিয়েছে। এই পরিবারের একটাই লক্ষ্য নিজেদের বাঁচানো।'