North Bengal Weather: দুর্যোগের পাহাড় থেকে কলকাতায় ফেরাবে সরকার, কীভাবে? রইল পুরো পদ্ধতি

North Bengal Weather: ভয়াবহ ধসের পর রবিবার বিকেল থেকে ফের নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। দার্জিলিং, কালিম্পঙে এখনও থামেনি বর্ষণ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। এখন প্রশ্ন, কবে থামবে দুর্যোগ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

Advertisement
দুর্যোগের পাহাড় থেকে কলকাতায় ফেরাবে সরকার, কীভাবে? রইল পুরো পদ্ধতিদুর্যোগের পাহাড় থেকে কলকাতা ফিরবেন কীভাবে? সরকারি সাহায্য় পেতে কী করতে হবে?

North Bengal Disaster Helpline: দুর্যোগের কবলে দার্জিলিং পাহাড়। মিরিক থেকে দুধিয়া, দার্জিলিং থেকে ডুয়ার্স জলে ভাসছে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকা। ধস নেমে বিপর্যস্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। তার মধ্যেই মিরিকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ব্রিজ ভেঙে পড়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলার এই দুধিয়া ব্রিজটি মিরিক এবং সংলগ্ন এলাকাকে শিলিগুড়ি ও কার্শিয়ঙের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই ব্রিজ ভেঙে পড়ায় মিরিকের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ধসের জেরে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের প্রায় সমস্ত রাস্তাও বন্ধ। সব মিলিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পর্যটকদের মধ্যে দুঃশ্চিন্তা ঢুকে গিয়েছে কীভাবে ফিরবেন। দার্জিলিঙে রবিবার রাত থেকেই আটকে পড়ে বহু মানুষ। তবে বিভিন্ন ট্যুরিজম স্টেক হোল্ডাররা এবং সরকারি দফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে। মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশে রাতেই NBSTC-র ১৮টি বাস রওনা হয়েছে পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাক পর্যটকদের নিয়ে আসতে। সেই সঙ্গে রয়েছে ৫০০ জন কর্মী। ভোর তিনটে পর্যন্ত বাসগুলি রওনা হয়েছে পাহাড়ে। সকাল থেকেই পর্যটকদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্য়াল জানান, সরকারি তৎপরতা রয়েছে। তার সঙ্গে তাঁরাও রাত জেগে কোথায় কতজন আটকে রয়েছে তার খবর নিয়েছেন, বাস পরিষেবা যাতে সঠিক জায়গায় পৌঁছয় সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন। তবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পর্যটকরা আতঙ্কিত তা তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কালিম্পঙ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দুটি নম্বর চালু করা হয়েছে।

পুষ্পজিত বর্মন- ৯০৫১৪৯৯০৯৬
রবি বিশ্বকর্মা-৮৭৬৮০৯৫৮৮১

তবে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ফেরার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে অনেকেই সময়মতো পৌঁছতে না পেরে আগে থেকে বুক করে রাখা ট্রেন-বাস মিস করেছেন। এরপর শুরু হয়েছে টিকিটের জন্য হাহাকার। যাঁরা নির্ধারিত বাস-ট্রেন মিস করেছেন, তাঁর বাধ্য় হয়ে চড়া দামে বাসের টিকিট কাটতে বাধ্য় হচ্ছেন। তবে পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।

Advertisement

দুর্যোগের কবলে গোটা উত্তরবঙ্গই। ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিং জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল ব্যাহত। ধসে নেমেছে জায়গায় জায়গায়। জলমগ্ন একাধিক রাস্তা। হুসেইন খোলায় ধস নেমেছে। বড় গাছ পড়ে দার্জিলিংগামী দিলারামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কার্শিয়ং যেতে গেলে পাঙ্খাবাড়ি এবং ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তা ধরতে হচ্ছে। কার্শিয়ং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ডাউহিল হয়ে যেতে হচ্ছে। পুজোর পর দার্জিলিং, কার্শিয়ং বেড়াতে গিয়ে কার্যত ফেঁসে গিয়েছে বহু পর্যটক। ট্যুরিস্ট হটস্পট হিসেবে পরিচিত মিরিক, কার্শিয়ঙের মতো এলাকাগুলি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে মিরিক লেক, রক গার্ডেন, টাইগার হিলের মতো জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটে।

 

POST A COMMENT
Advertisement