BJP Leader Son Dead: রেললাইনের ধারে BJP নেতার ছেলের দেহ, খুন? কোচবিহারে মর্মান্তিক ঘটনা

আবারও শাসকদলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। রেললাইনের ধার থেকে ছেলের দেহ মেলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা অধীর বর্মন। পাশাপাশি পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলেও ভয়ঙ্কর দাবি করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোকসাডাঙা এলাকার শিলডাঙায়।

Advertisement
রেললাইনের ধারে BJP নেতার ছেলের দেহ, খুন? কোচবিহারে মর্মান্তিক ঘটনা
হাইলাইটস
  • রেললাইনের ধার থেকে ছেলের দেহ মেলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা অধীর বর্মন।
  • পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলেও ভয়ঙ্কর দাবি করেছেন তিনি
  • ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোকসাডাঙা এলাকার শিলডাঙায়

আবারও শাসকদলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। রেললাইনের ধার থেকে ছেলের দেহ মেলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা অধীর বর্মন। পাশাপাশি পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলেও ভয়ঙ্কর দাবি করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোকসাডাঙা এলাকার শিলডাঙায়।

মৃতের নাম প্রলয় বর্মন। তার বাবার নাম অধীর বর্মন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিজেপি-এর সংযুক্ত অধীর। এলাকার রাজনীতিতেও তিনি সক্রিয়। আর সেই নেতার ছেলের দেহই রেললাইনের পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছে। 

আর ঘটনার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন প্রলয়। তাঁর ছেলেকে খুন করার পর রেললাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এমনকী পুলিশ এই ঘটনার FIR নিতে চায়নি বলেও তিনি দাবি করেছেন। আর ঘটনার পর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।

কী দাবি মৃতের বাবার?
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অধীর বর্মন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে চাঁদা নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবের ঝামেলা হয়েছিল। মাথাভাঙা মহকুমার নীলডাঙা এলাকার বিধান সঙ্ঘ ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর ছেলের ঝামেলা শুরু হয়। সেই ঝামেলার জেরেই তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

এরপর ছেলের দেহ নিয়ে গিয়ে রেল লাইনের ধারে ফেলা দেওয়া হয় বলেও অধীর দাবি করেছেন। তাঁর মতে, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। 


আর কী জানা যায়? 
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে প্রলয় বর্মনের মোবাইল থেকে একটি ফোন আসে অধীরের কাছে। প্রলয় স্থানীয় একটি ক্লাবের দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে ধাক্কা মেরেছে বলে জানান হয়। 

খবর পেয়েই সেখানে অধীর চলে যান। গিয়ে দেখেন ছেলের বাইক পড়ে রয়েছে। এমনকী পড়ে রয়েছে মোবাইলও। কিন্তু ছেলের দেখা মেলেনি। 

এমন পরিস্থিতিতে ক্লাবের লোকজনের কাছে ছেলের বিষয়ে জানতে চান অধীর। তার উত্তরে ছেলে চলে গিয়েছে বলে জানান তারা। 

Advertisement

যদিও বাড়ি ফিরে এসেও ছেলেকে সেখানে দেখতে পাননি অধীর। তাই আবার সেই ক্লাবে পৌঁছে যান তিনি। এর পরই ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই রেললাইনের ধারে পাওয়া যায় প্রলয়ের দেহ বলে জানা গিয়েছে। 

স্থানীয় তৃণমূল নেতাই খুনের নেপথ্যে
ছেলের এই করুণ পরিণতির জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাধব বর্মনকে দায়ী করেছেন অধীর। প্রথমে এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে চাইলেও পরে তা গ্রহণ করা হয় বলেই জানা গিয়েছে। এখন চলছে তদন্ত।


 

POST A COMMENT
Advertisement