Debanandapur Fish Fair: চুনোপুটি থেকে ১৫ কেজির চিতল, ব্যান্ডেলের এই মাছের মেলায় জড়িয়ে ৫১৭ বছরের ইতিহাস

হুগলি জেলার দেবানন্দপুরের কেষ্টপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক মাছের মেলা,  যা প্রায় ৫১৭ বছরের পুরনো। যেখানে পাওয়া যায় চুনোপুটি থেকে শুরু করে ৫০ কেজি পর্যন্ত বড় বড় মাছ। মেলা দেখতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে বহু ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির পরের দিন, অর্থাৎ পয়লা মাঘে, এই মেলা আয়োজিত হয়।

Advertisement
চুনোপুটি থেকে ১৫ কেজির চিতল, ব্যান্ডেলের এই মাছের মেলায় জড়িয়ে ৫১৭ বছরের ইতিহাসDebanandapur Fish Fair: দেবনন্দপুরের মাছের মেলায় এমন আরও হাজারো দৃশ্য দেখতে পাবেন।

Devanandapur Fish Fair: হুগলি জেলার দেবানন্দপুরের কেষ্টপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক মাছের মেলা,  যা প্রায় ৫১৭ বছরের পুরনো। যেখানে পাওয়া যায় চুনোপুটি থেকে শুরু করে ৫০ কেজি পর্যন্ত বড় বড় মাছ। মেলা দেখতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে বহু ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির পরের দিন, অর্থাৎ পয়লা মাঘে, এই মেলা আয়োজিত হয়।

এটি 'উত্তরায়ণ মেলা' নামেও পরিচিত, কারণ এই সময় সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়। রুই, কাতলা, ইলিশ, ভেটকি, ভোলা, চিংড়ি, টুনা, শঙ্কর মাছসহ নানা প্রকারের মাছ এখানে বিক্রি হয়।  দূর-দূরান্ত থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক ও মিঠা জলের মাছের পসরা নিয়ে বসেন। মাছের দাম সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত হয়।

মেলার উৎপত্তি সম্পর্কে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম শিষ্য রঘুনাথ দাস গোস্বামী সন্ন্যাস গ্রহণের পর বাড়ি ফিরে এলে, তাঁর পিতা গোবর্ধন গোস্বামী গ্রামের মানুষদের খাওয়ানোর আয়োজন করেন। গ্রামবাসীরা কাঁচা আমের ঝোল ও ইলিশ মাছ খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রঘুনাথ দাস গোস্বামীর নির্দেশে বাড়ির পাশের আম গাছ থেকে জোড়া আম এবং জলাশয় থেকে জোড়া ইলিশ পাওয়া যায়, যা দেখে সবাই অবাক হন। সেই থেকেই এই মেলার প্রচলন শুরু হয়। 

মেলায় শুধু মাছ কেনাবেচা নয়, পাশের আম বাগানে অনেকেই মাছ ভেজে পিকনিকের আয়োজন করেন, যা মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।  এছাড়া, মেলার পাশে বিভিন্ন মনোহরী সামগ্রীর দোকানও বসে, যা ক্রেতা ও ঘুরতে আসা মানুষের জন্য বাড়তি আনন্দের উৎস।

সংবাদদাতাঃ ভোলানাথ সাহা

POST A COMMENT
Advertisement