বর্ষার শুরুতেই বিধানগর পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। সল্টলেক সংলগ্ন রাজারহাট, নারায়ণপুর ও দত্তবাদে ডেঙ্গি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে এক ডজনেরও বেশি নতুন ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বিধাননগর পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের এক অফিসার জানিয়েছেন, বেশিরভাগ আক্রান্তই কেষ্টপুর, বাগুইআটি এবং চিনার পার্কে।
আধিকারিকদের মতে, বিধাননগর এলাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫০-এ দাঁড়িয়েছে। বর্ষা পড়তেই যা বাড়ছে। স্বাস্থ্যের দায়িত্বে থাকা মেয়র পরিষদের সদস্য বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী, সুইপার এবং ভেক্টর-কন্ট্রোল কর্মীদের সমন্বয়ে দল গঠন করেছেন। দলগুলি লার্ভিসাইড স্প্রে করতে এবং আবর্জনা পরিষ্কার করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াবে।
পুরনিগম সূত্রে খবর, সাধারণত ডেঙ্গির ঘটনা জুলাই মাসে বাড়তে শুরু করে। যা অব্যহত থাকে অক্টোবর পর্যন্ত। গতবছর রাজারহাট, কেষ্টপুর, সল্টলেক এবং চিনার পার্কের মতো জায়গা থেকে ৪ হাজার ২০০ জনের ডেঙ্গি আক্রান্তের তথ্য মেলে। সংক্রমণ বাড়ছিল ২৯, ৩১, ৩৩, ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। দত্তবাদে, ইএম বাইপাস বরাবর সল্টলেকের সীমানায় থাকা কয়েকটি টেনিমেন্ট ছিল ডেঙ্গুর কেন্দ্রস্থল। লাবনী, ইসি ব্লক, বিদ্যাসাগর আবাসন এবং পূর্বাচল হাউজিং কমপ্লেক্সের মতো জায়গায় বেশ কয়েকটি ডেঙ্গুর ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, সল্টলেকের বেশ কয়েকটি ব্লকে ফাঁকা প্লট রয়েছে। যেখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরানো ভবনগুলি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যেগুলিতে ডেঙ্গির মশা ডিম পাড়ছে বলে অভিযোগ। ১ নম্বর সেক্টরের সিজে ব্লক এবং বিএফ ব্লকেও মশা বেড়েছে। প্লটের আশেপাশে থাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারাদিন দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে।
নিউ টাউনের ৩টি অ্যাকশন এরিয়া জুড়ে প্রায় প্রতিটি ব্লকে একটি করে নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, যে তারা ভেক্টর-বাহিত রোগের প্রকোপ কমাতে পদক্ষেপ নিতে সমস্ত নির্মাতা এবং ঠিকাদারদের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।