বর্ষা আসি আসি করেও আসছে না, কিন্তু এরইমধ্যে জালে উঠল প্রচুর ইলিশ। ইলিশ বলে কথা। মরসুমের প্রথম ইলিশকে ঘিরে তাই শনিবার ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল ক্রেতাদের মধ্যে। ওই ইলিশ ইতিমধ্যেই কলকাতায় ঢুকছে। সন্ধের মধ্যেই কলকাতার বাজার ইলিশে ছয়লাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন তিন হাজার কেজি ইলিশ ঢুকেছে ডায়মণ্ড হারবারের বাজারে। কেজি প্রতি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা দরে। হাজার দু'য়েক কেজি ইলিশ কলকাতা-সহ আশেপাশের বাজারে এদিনই পৌঁছে যাবে। কলকাতায় ওই ইলিশের কেজি কত হবে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না।
ইলিশের প্রজননের জন্য মাঝে দু'মাস বন্ধ ছিল মাছ ধরা। ফের ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীরা। তাঁদের জালে উঠেছে মরসুমের প্রথম ইলিশ। মৎসজীবীদের আশা এবছর ভালো ইলিশ উঠবে। দামও থাকবে সাধারণের নাগালের মধ্যেই।
ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী জানালেন, এই মুহূর্তে বাজারগুলিতে হিমঘরের ইলিশও বিক্রি হচ্ছে। এই ইলিশ মূলত মায়ানমার থেকে আমদানি করা হয়। মায়ানমারের ইলিশ একটু সরু ও লম্বাটে হয়ে থাকে। জামাইষষ্ঠী মাত করছে এই ইলিশই। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাই মায়ানমার থেকে ইলিশ মাছ জাহাজে করে এ রাজ্যে আনা হয়। এগুলি বেশির ভাগই ইরাবতী নদী থেকে ধরা ইলিশ।