Digha Jagannath Temple: দিঘার প্রসাদের বরাতে 'হিন্দু-মুসলিম' ইস্যু পেল BJP? সুকান্তর দাবিতে নয়া বিতর্কের আঁচ

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ তুলেছেন, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিতরণের জন্য যে প্রসাদ তৈরি হচ্ছে, তার বরাত দেওয়া হয়েছে এমন কিছু মিষ্টির দোকানকে, যাদের মধ্যে তিনটির মালিকই মুসলিম।

Advertisement
দিঘার প্রসাদের বরাতে 'হিন্দু-মুসলিম' ইস্যু পেল BJP? সুকান্তর দাবিতে নয়া বিতর্কের আঁচদিঘার জগন্নাথের প্রসাদ
হাইলাইটস
  • রানীনগর-১ নম্বর ব্লকে ‘দীঘা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’-এর প্রসাদ সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
  • রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ তুলেছেন, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিতরণের জন্য যে প্রসাদ তৈরি হচ্ছে, তার বরাত দেওয়া হয়েছে এমন কিছু মিষ্টির দোকানকে, যাদের মধ্যে তিনটির মালিকই মুসলিম।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ ঘিরেও এবার ধর্মীয় রাজনীতির আঁচ পশ্চিমবঙ্গে? রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবিতে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। সুকান্তর দাবি, যে সকল মিষ্টির দোকানকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি দোকানের মালিকই নাকি মুসলিম। যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সুকান্ত এই দাবি করছেন, তার সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।

সুকান্তর অভিযোগ, “হিন্দু ধর্মীয় উৎসবের প্রসাদ তৈরির বরাত মুসলিম ব্যবসায়ীদের দিয়ে আসলে কি মুখ্যমন্ত্রীর চিরাচরিত তোষণনীতিরই প্রতিফলন নয়? যেমন ওবিসি তালিকায় মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তেমনই এবার ঘুরপথে ধর্মীয় বরাতও মুসলিমদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, 'সরকারি কোনও বরাত দেওয়ার আগে সংবেদনশীল ধর্মীয় ইস্যুতে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসকে গুরুত্ব না দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা গভীর উদ্বেগের।' তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই বিজ্ঞপ্তির সত্যতা যাচাই করে জনগণের সামনে স্পষ্ট ব্যাখ্যা পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই ইস্যুতে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এলাকায় হিন্দু সমাজের একটি অংশের মধ্যে বিষয়টি ঘিরে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মীয় প্রসাদের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বরাত বন্টনের সময় কী প্রশাসন ধর্মীয় প্রথা ও জনমানসের ভাবাবেগের যথাযথ মর্যাদা দিচ্ছে?

যদিও দিঘার মন্দিরে পুরীর মতো অহিন্দুদের প্রবেশে বাধা নেই বলেই সূত্রের খবর। এবং জগন্নাথ মন্দিরটি একটি কালচারাল সেন্টার। সুতরাং সেখানে সব ধর্মের মানুষই প্রবেশ করবেন, বা উৎসবে চাইলে যোগ দিতে পারবেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু প্রসাদ বিতরণে অহিন্দু ব্যবসায়ীদের বরাত দেওয়া নিয়ে তরজা শুরু হল। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে এমন ইস্যু ঘিরে রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও তীব্র হতে পারে। এখন দেখার, প্রশাসন কত দ্রুত ও কীভাবে এই বিতর্কের জবাব দেয়।


 

 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement