সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই খুলে যেতে পারে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, মন্দিরের নির্মাণের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে চলছে, সামনের রথযাত্রার আগেই মন্দির উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সরকারি তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটলেই আদর্শ আচরণ বিধি উঠে যাবে। তারপরেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বরে বানানো হচ্ছে নতুন রথ। আগামী ৭ জুলাই রথযাত্রা। লোহার পাত দিয়ে সেই রথ তৈরি করা হচ্ছে। কাজ চলছে জোরকদমে। আর সেই কারণে চর্চা চলছে রথযাত্রার আগেই 'জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি সেবা কেন্দ্রের' উদ্বোধন হতে পারে বলে।
২০১৮ সালে নিউ দিঘা রেল স্টেশনের ধারে ভোগীবহ্মপুর মৌজায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ন্য ২৫ একর জমি দেওয়া হয়। ওই জমিতে জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নির্মাণ শুরু হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। রাজ্য সরকারের তরফে নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় হিডকোকে। জানা যাচ্ছে, মন্দির ও আনুসাঙ্গিক পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য ১৮০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। দিঘার মন্দিরের উচ্চতা হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমান। পাথর এনে ধাপে ধাপে বসিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দির। কয়েকটি অংশে পড়েছে রঙের প্রলেপও। এছাড়াও জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তিও এসে গিয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন মমতা বলেন, 'পুরীর মন্দিরের মতো তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। ঠাকুরও তৈরি হয়ে চলে এসেছে। পুরীর মূর্তি নিমকাঠের। আমাদেরটা মার্বেলের।'
রথযাত্রার আগে জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের বিষয়ে এখনও কিছু রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়নি। হিডকোর এমডি সঞ্জয় বনসল বলেন, 'খুব দ্রুত গতিতে কাজ চলছে, দেখা যাক পরিস্থিতি কী হয়? চেষ্টা চলছে।' এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন। তবে এখনও দিন ঠিক হয়নি। রথযাত্রার জন্য নতুন করে রথ তৈরির কাজ চলছে।'