দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে একই পরিবারের আটজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে চারটি শিশু রয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "যতবার বিস্ফোরণ হয়, ততবার প্রশ্ন ওঠে—বাজি না অন্য কিছু? নৈহাটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল; গঙ্গার অপর প্রান্তে হুগলির একাধিক বাড়ির কাচ ভেঙে গেছিল। আমি নিজে পিংলা গেছি, বর্ধমান গেছি। শেষ পর্যন্ত কতজন গ্রেফতার হয়? কতজন সাজা পায়? কেউ জানে না।" তিনি আরও বলেন, "মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, সেটা নিয়ে সরকার কিছু বলেন না, করেন না।"
দিলীপ ঘোষ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে রাজ্য সরকার ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে এবং ভোটের আগে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করছে। তিনি বলেন, "আমরা দাবি করছি এনআইএ হোক। কারণ এই সরকার চায় না এনআইএ হোক। ওরা চায় এই ধরনের ঘটনা ঘটুক। মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হোক। ভোটের আগে এরকম ভয়ের পরিবেশ তৈরি হোক।"
রামনবমী উপলক্ষে কলকাতায় পোস্টার লাগানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই ধরনের আয়োজন বাড়ছে। হিন্দু সমাজ মোঘল, পাঠান, ব্রিটিশ দাসত্বে ছিল। হীনমন্যতায় ভুগছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছিল। রামনবমীর আগেই দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে, ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।"
পুলিশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সবকিছুর পারমিশন লাগে নাকি? কার বাড়িতে কালীপুজো হবে, পারমিশন লাগবে? কার বাড়িতে বিয়ে হবে, পারমিশন লাগবে? এটা কি মোঘল সাম্রাজ্য চলছে?" তিনি জানান যে পুলিশের কাজ বিষয়টা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেটা দেখা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেন, "কালকের ভাষণে সম্প্রীতি কোথায় ছিল আমি জানি না। 'দেখে নেব, করে নেব, আমি একাই একশো'—এটা কোন ধরনের সম্প্রীতির বার্তা? উনি উস্কাচ্ছেন। এটা সম্প্রীতি নয়।"