scorecardresearch
 

Dilip Ghosh On Abhishek Banerjee : TMC-র ২৪০ আসন? অভিষেককে দিলীপের কটাক্ষ, 'ততদিন থাকবে কিনা সন্দেহ'

সোমবার দিলীপ ঘোষ বলেন, "আগে লোকসভা-পঞ্চায়েত পার করুন, তারপর বিধানসভায়। ততদিন পার্টি থাকবে কি না, ততদিন সরকার থাকবে কি না সেটা তো সন্দেহের বিষয়। যেভাবে সরকার চলছে, পঞ্চায়েত করতে পারছেন না সাহস করে। তারপরে পার্লামেন্ট ইলেকশান পার হতে হবে। গতবারে অনেক পার্টি উঠে গিয়েছে,ওনাদের একডজন সিট কমে গেছে। এবার যদি আরও একডজন কমে যায়, তাহলে পার্টি টা কোথায় থাকবে"? 

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ
হাইলাইটস
  • ২৪০ আসন পাওয়ার দাবি অভিষেকের
  • পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের
  • যা বললেন বিজেপি নেতা...

রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২৪০টি আসন পাবে বলে দাবি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর সেই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আগে লোকসভা-পঞ্চায়েত পার করুন, তারপর বিধানসভায়। ততদিন পার্টি থাকবে কি না, ততদিন সরকার থাকবে কি না সেটা তো সন্দেহের বিষয়। যেভাবে সরকার চলছে, পঞ্চায়েত করতে পারছেন না সাহস করে। তারপরে পার্লামেন্ট ইলেকশান পার হতে হবে। গতবারে অনেক পার্টি উঠে গিয়েছে,ওনাদের একডজন সিট কমে গেছে। এবার যদি আরও একডজন কমে যায়, তাহলে পার্টি টা কোথায় থাকবে"? 

প্রসঙ্গত, রবিবার উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে জনসংযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর চোপড়ায় প্রথম জনসভা করেন তিনি। সেই জনসভা থেকেই অভিষেক বলেন, "তৃণমূলকে হারানো, হঠিয়ে দেওয়া অত সহজ নয়। জনসমর্থন আরও বাড়ছে, বাড়বে। ২০১১ সালে ১৮৪ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। ২০১৬ সালে ২১১ টি আর ২০২১ সালে ২১৩ আসনে জিতেছে। এবার ছাব্বিশে ২৪০ আসন পাবে তৃণমূল"।

অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আবদুল করিম চৌধুরীর না যাওয়ার প্রসঙ্গেও এদিন প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, "ওনাকে কে বলেছে টিএমসি-তে যেতে? উনি বেরিয়ে এসে আলাদা পার্টি করলেন, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে এসেছিলেন। অনেক কিছু করেছিলেন। ক্ষমতাও চাই, পদ চাই, আর নিজের মতো চলবো, হয় নাকি? ওখানে কর্মচারি হয়েই থাকতে হবে"। 

এছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ভোট প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, "গোড়া থেকেই বলছি, তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক পার্টি নয়। কিছু লোক এক জায়গায় হয়েছে। বেশিরভাগই দাগী লোক। তারাই চালাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জী একসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে অনেক লোক সেছিলেন বিভিন্ন পার্টি থেকে। তাঁরা আজকে এখানে গৌন হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা সবাই হতাশায় ভুগছেন। যত সিনিয়ার লিডারের কথা শুনুন, সবাই হতাশায় ভুগছেন। কিন্তু করবেন কী, ওখানেই থাকতে হবে। টিএমসি-তে যত সমাজবিরোধী বা এই ধরনের লোক তারাই নেতা। কারণ তারাই টাকা তুলে দিচ্ছে। টাকাই শেষ কথা। পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া পার্টিটা চলবে না। সেজন্য কোনও ভদ্রলোক ওখানে থাকতে পারবেন না। গুন্ডারা এখন ধীরে ধীরে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ আমরা টাকা তুলে দিচ্ছি, অন্য কেই টিকিট পাবে এটা হতে পারে না। তারা এখন তাদের শক্তি দেখাচ্ছে"।

Advertisement

আরও পড়ুন - পেঁপে মহৌষধ, এই অংশটির গুণ জানলে চমকে যাবেন 

 

Advertisement