শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতী সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "পুলিশের ওপর ভরসা করে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা ঠিক না। আরও প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল। এ রাজ্যের মানুষ কিছু পাবে শুনলে দৌড়ায়। লক্ষীর ভাণ্ডারেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দান খয়রাতি মানবতার অপমান। কিছু পাওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষকে টেনে আনা আমি সমর্থন করি না। গরীবকে সাহায্য করার অন্য নানারকম উপায় আছে।"
বুধবারই আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কম্বল নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হন বেশ কয়েকজন। তারমধ্যে মৃত্যু হয় ৩ জরে। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে। তবে যে সময় এই ঘটনা ঘটে, তার কিছুটা আগেই অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী।
এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেন, "অনুষ্ঠান শেষের ১ ঘণ্টা পরে পদপিষ্টের কথা জানতে পারি। আমি চলে আসার পরে পুলিশও চলে যায়, এমনই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আমি চলে আসার পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও চলে আসতে বলা হয়েছিল। আমার মঞ্চে থাকাকালীন পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। কাউকে দোষারোপ করছি না, কিন্তু এধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটা উচিত ছিল না।"
যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, "শুভেন্দু অধিকারী ১২ তারিখ, ১৪ তারিখ ও ২১ তারিখ আমাদের ‘ডিসেম্বর ধামাকার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১২ তারিখ সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে তাঁর কারণে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তিন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর কি তাহলে আরও মর্মান্তিক কিছু অপেক্ষা করছে?"
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর তত্ত্ব নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই বিষয়ে ৩টি দিনের উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। সেগুলি হল ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর। তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, এই তিনদিন কিছু একটা ঘটবে। তারপরেই ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৩ জনের।
আরও পড়ুন - শুক্রবার থেকেই লাফিয়ে নামবে তাপমাত্রা, কোথায় কতটা?