Dilip Ghosh: উদ্বোধনে গিয়েছিলেন, সেই জগন্নাথ মন্দির নিয়েই মমতাকে টার্গেট দিলীপের

তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির তরফেও সোমবার খড়গপুরে শহীদ স্মরণের আয়োজন করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, 'বাংলার নামে বাংলাদেশি ভোটারদের বাঁচাচ্ছেন মমতা।' তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে শাসকদল পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার করছে এবং তাঁদের রক্ষা করছে।

Advertisement
উদ্বোধনে গিয়েছিলেন, সেই জগন্নাথ মন্দির নিয়েই মমতাকে টার্গেট দিলীপেরদিলীপ ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।-কোলাজ
হাইলাইটস
  • তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির তরফেও সোমবার খড়গপুরে শহীদ স্মরণের আয়োজন করেছিলেন দিলীপ ঘোষ।
  • জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, 'বাংলার নামে বাংলাদেশি ভোটারদের বাঁচাচ্ছেন মমতা।'

তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির তরফেও সোমবার খড়গপুরে শহীদ স্মরণের আয়োজন করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, 'বাংলার নামে বাংলাদেশি ভোটারদের বাঁচাচ্ছেন মমতা।' তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে শাসকদল পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার করছে এবং তাঁদের রক্ষা করছে।

দিলীপের কথায়, 'জয় বাংলা বললেই কেউ বাঙালি হয়ে যায় না। বাংলাদেশ থেকে ভোটার, অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আসছেন মমতা। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। আমাদের ২৫০ জন প্রাণ দিয়েছেন।' তিনি আরও বলেন, 'বাংলা ভাষার জন্য মমতা কী করেছেন? বাংলা ভাষাকে বরং সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন।'

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-কাণ্ডকে কেন্দ্র করে দিলীপের প্রশ্ন, 'আরজি করের মেয়েটি বাঙালি ছিল না, কসবা আর জোকার ছাত্রীরাও বাঙালি ছিল না। বাঙালি বাঙালি করছেন, এদিকে নিজের বাড়িতে এনেছেন পাঞ্জাবি মেয়ে। এত দ্বিচারিতা চলবে কী করে?' তাঁর অভিযোগ, এসব ঘটনা দেখিয়ে মমতা শুধুই সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।

শাসকদলের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ বলেন, 'বাংলাদেশিদের ভোটার করে দিচ্ছেন। বাংলাদেশিদের আঁচলে লুকোতে পারবেন না, গলা ধাক্কা দিয়ে বের করব। বাংলাদেশিদের বাড়িতে বুলডোজার চলবে।'

তৃণমূলের সাম্প্রতিক কর্মসূচি এবং মমতার একাধিক ঘোষণাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'দিদিমণি আর ভাইপো পুরনো ক্যাসেট বাজাচ্ছেন, মানুষ তা বুঝে গেছে। আচমকা জগন্নাথ মন্দির করলে হিন্দু হওয়া যায় না। জগন্নাথদেবের হাত নেই। তাই মমতাকে আশীর্বাদ করতে পারেননি। যখন নারকেল ভাঙছিলেন, মনে হচ্ছিল পেটো ভাঙছেন।'

 

POST A COMMENT
Advertisement