COVID Vaccine: টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অযথা ভিড় করবেন না, পরামর্শ রাজ্যের

আজ অর্থাত্‍ সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, যাঁরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁদের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এর জন্য নির্ঘণ্ট তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement
টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অযথা ভিড় করবেন না, পরামর্শ রাজ্যেরটিকার জন্য লাইন -- ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • অযথা ভিড় না করারই পরামর্শ রাজ্য সরকারের
  • নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় দফার টিকা পান তা নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে
  • রেমডিসিভির জাতীয় দুষ্প্রাপ্য ওষুধের জোগানও কিছুটা বেড়েছে

করোনার টিকার ব্যাপক ঘাটতিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন হাসপাতাল, টিকা কেন্দ্রের রাতভর লাইন দিয়েও টিকা পাচ্ছেন না বহু মানুষ। বাড়ছে ক্ষোভ। এ হেন পরিস্থিতিতে করোনার দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাসপাতালে অযথা ভিড় না করারই পরামর্শ রাজ্য সরকারের।

আজ অর্থাত্‍ সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, যাঁরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁদের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এর জন্য নির্ঘণ্ট তৈরি করা হচ্ছে। যাঁরা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাঁরা যাতে নির্ধারিত সময়ে দ্বিতীয় দফার টিকা পান তা নিশ্চিত করতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।

আলাপনের কথায়, 'প্রথম ডোজের টিকা পাওয়ার সময়সীমার ভিত্তিতে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকার স্থির করা হবে। যাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রথম পর্যায়ের টিকা নিয়েছেন, তাঁরাও নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতাল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। কারা কোন সময় টিকা পাবেন, সরকারের তরফে তা প্রাপকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রের কাছ থেকে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত প্রতিষেধক পাওয়া গেলে তবেই রাজ্যে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে। টিকার নিয়মিত সরবরাহের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।'

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে অতিমারীর আবহে রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতি মেটাতে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিয়েছিল তার ফলস্বরূপ দুহাজারের বেশি শিক্ষানবীশ চিকিৎসক ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। রেমডিসিভির জাতীয় দুষ্প্রাপ্য ওষুধের জোগানও কিছুটা বেড়েছে।

করোনা চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়াতে জেলায় জেলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিটি পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় অন্তত একটি করে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স  ও শববাহী যান রাখার মতো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আজ শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁদের জায়গাতে সেফহোম তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে এই দিনের বৈঠকে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement