scorecardresearch
 

Abhishek Banerjee: 'এত আন্দোলন...ধর্ষণ থামেনি... আইন প্রয়োজন,' ডাক্তার সমাবেশে আরজি কর ইস্যু তুললেন অভিষেক

শনিবার আমতলায় ডক্টর্স কনভেনশন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রায় ১,২০০ চিকিৎসক অংশ নেন। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ৭৫ দিনের চিকিৎসা পরিষেবা শিবিরের সূচনা করেন তিনি। উদ্যোগের নাম 'সেবাশ্রয়'। 

Advertisement
আমতলায় চিকিৎসকদের সামনে বক্তব্য রাখছেন অভিষেক। আমতলায় চিকিৎসকদের সামনে বক্তব্য রাখছেন অভিষেক।

শনিবার আমতলায় ডক্টর্স কনভেনশন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রায় ১,২০০ চিকিৎসক অংশ নেন। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ৭৫ দিনের চিকিৎসা পরিষেবা শিবিরের সূচনা করেন তিনি। উদ্যোগের নাম 'সেবাশ্রয়'। 

এদিকে এরই মধ্য়ে আরজি করের ঘটনার বিষয়ে মুখ খুললেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, 'একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্রকে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। আরজি করের যে ঘটনা ঘটেছিল আমি প্রথমদিন থেকে তার নিন্দা করেছি। আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছিচ যারা এই ঘটনা ঘটায় তাদের সমাজে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। কারও ভাল লাগতে পারে, না-ও লাগতে পারে। এর একমাত্র প্রতিকার ওষুধ সমাধান হচ্ছে আইন। কারণ আইন না হলে সারা ভারত, প্রতি ১০ মিনিটে আমাদের দেশে একটি ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। মানে ঘণ্টায় ৬টা।'

রাজ্য সরকারের উদ্যোগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্য সরকার বিধানসভায় অপরাজিতা বিল আইন পাশ করেছে। আমি আমাদের ছাত্র সমাবেশের মিটিং থেকে বলেছিলাম আমি প্রাইভেট বিল আনব। এই অ্যামেন্ডমেন্ট রাষ্ট্রপতি যদি ছেড়ে দেয় তাহলে সারা দেশে এই আইন বিএনস-এ প্রযোজ্য হবে। নয় তো যত দিনই লাগুক না কেন আমি প্রাইভেট মেম্বার বিল আনব।'

তিনি বলেন, 'আমাদে যদি এই ধর্ষণের মতো অপরাধ, ঘটনাকে চিরতরে সরাতে হয়, তার একমাত্র উপায় হল অ্যান্টিরেপ বিল বা ল। সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে, ২ মাস হয়ে গেল তা সেখানেই পড়ে আছে। এই বিল পাশ হলে, ৫০ দিনে তার শাস্তি হবে। সেই সঙ্গে অ্যাসিড অ্যাটাকের ক্ষেত্রেও আমরা ৩-৫ বছরের শাস্তির নিয়ম রেখে বিল পাশ করেছি। অন্য কোনও রাজ্যে নেই। এই বিল পাশ হলেই আমাদের দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা বন্ধ হবে।'

অভিষেক আরও বলেন, 'প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। কিন্তু এই যে ২ থেকে ৩ মাস প্রতিবাদ, আন্দোলন হল, এতে কি ধর্ষণের ঘটনা থেমে গিয়েছে? আজও প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমার যখনই সিনিয়র বা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তখনই তাঁদের প্রশ্ন করেছি, আপনারা আইনটা নিয়ে কথা বলছেন না কেন?'

Advertisement

এর পাশাপাশি এদিন অভিষেক বলেন, 'চিকিৎসকরা অনেকসময় রোগীর পরিজনের দুর্ব্যবহার পান। এই নিয়ে অভিযোগ আসে। আমাদের জনপ্রতিনিধিদেরও অনেক ক্ষেত্রে দুর্ব্যবহারের মুখে পড়তে হয়। এটা একটু ধৈর্য্য রেখে মোকাবিলা করতে হবে। এমনটা বলছি না যে গুরুতর কোনও ঘটনা হলে সেটা মেনে নেবেন। যে কোনও এমন পরিস্থিতিতে আমি আপনাদের পাশে আছি। ডায়মণ্ড হারবারের মানুষ জানেন, তাঁদের জন্য এক ফোনে অভিষেক নম্বর আছে। সেখানে ফোন করে সরাসরি আমাকে যে কোনও সমস্যা, অভিযোগের বিষয়ে জানাতে পারেন।' তিনি জানান, এই ফোন কল নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে। অভিষেক জানান, '7887778877 নম্বরে ফোন করে আমাকে অভিযোগ জানাতে পারেন। ডাক্তারবাবুদের ফোন গ্রহণের জন্য ১০ জনের একটি প্রায়োরিটি গ্রুপ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই গ্রুপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এক ডাকে অভিষেক। এই লাইন ব্যস্ত থাকলে সেক্ষেত্রে অভীকদের জানালে আমারে জ্ঞাতার্থে এলেই আমি আপনাদের যথাসাধ্য সাহায্যের চেষ্টা করব।'

এর পাশাপাশি অভিষেক জানান, লোকে ভাবে ইডি-সিবিআই-এর কাছে গেলেই সব সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ২০১৩ সালে সারদা কেস, তাতে এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। ১১ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। 

অভিষেকের কথায়, 'আরজি করের ঘটনায় সরকার শুরু থেকে প্রতিবাদে কোনও বাধা দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। এই ধরুন কমিশনার বদলের যে দাবি করা হল। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে প্রশাসনের অনিয়ম এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে, সেক্ষেত্রেও এই রদবদলের ফলে কি দেশে ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে? বা তথাকথিত দুর্নীতির যে দাবি উঠছে, সেটা কি বন্ধ হয়ে যাবে? এটা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজন আইনের।'

Advertisement