মিউকরমাইকোসিসে জোড়া মৃত্যু শিলিগুড়িতে, আতঙ্ক

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল আরও দুজনের। সেই সঙ্গে এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০।

Advertisement
মিউকরমাইকোসিসে জোড়া মৃত্যু শিলিগুড়িতে, আতঙ্কউত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
হাইলাইটস
  • মিউকরমাইকোসিসে জোড়া মৃত্যু
  • শিলিগুড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে
  • দুজনেরই ডায়াবেটিস ছিল বলে খবর

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল আরও দুজনের। সেই সঙ্গে এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০।

আরও মৃত্যুতে আতঙ্ক শহরে

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকর মাইকোসিস আক্রান্ত হয়ে ফের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও দু জনের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে।

মৃতরা দুজনই শিলিগুড়ির বাসিন্দা

উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার নিউ রঙ্গিয়া এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র দেব সিংহ ও  কাওয়াখালির বাসিন্দা জগদীশ মল্লিক। এই নিয়ে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই দশ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।

করোনা ও ডায়াবেটিস ছিল জিতেন্দ্রের

হাসপাতাল সূত্রে খবর জিতেন্দ্র দেব সিংহ ৫ জুন করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালের কোভিড ব্লকে ভর্তি হন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে কোভিড ব্লক অন্যত্র সরানো যায়নি। এরপরই তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন। এছাড়াও তার হাই ডায়াবেটিস ছিল। এরপর শুক্রবার মাঝরাতে তিনি মারা যান।

জগদীশেরও ডায়াবেটিস ও ফুসফুসে আক্রমণ

অন্যদিকে, জগদীশ মল্লিক ২৬ মে করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তারও হাই ডায়াবেটিসের সঙ্গে ফুসফুস আক্রান্ত হয়। তিনিও গতকাল মাঝরাতে মারা যান।

নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে এই দুই রোগী মেডিকেলে আসার পর তাদের ব্লাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ দেখা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত হতে সোমবার দুজনেরই লালারস ও টিস্যু পরীক্ষার জন্য ভাইরাল রিসার্চ এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। তবে দুজনেরই মঙ্গলবার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

অস্ত্রোপচার করার পরিস্থিতি ছিল না

কিন্তু তাদের শারীরিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কোভিড ব্লক থেকে সরিয়ে তাদের অস্ত্রোপচার করা যায়নি। এই বিষয় নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ডা রাধেশ্যাম মাহাতো জানান, এই দুজনের হাই ডায়াবেটিস ছিল এবং তাদের অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল যে তাদেরকে অনেক চেষ্টার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement