দুর্গাপুরে এক ওড়িশার বাসিন্দা তরুণী মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্যে। সন্ধেবেলা সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে ফুচকা খেতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়েই একদল ছেলে সহপাঠীকে মেরে, তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুর্গাপুরের ওই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর পুলিশ। এদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, '১০টা নাগাদ মেয়ের এক সহপাঠী আমাদের ফোন করে। জানায়, মেয়ের গণধর্ষণ হয়েছে। আমরা জলেশ্বরে থাকি। মেয়েকে এখানে প়ে পাঠিয়েছিলাম। শুনলাম মেয়েকে খাবার খাওয়াতে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল ওর সহপাঠী। যখন দু'তিন মেয়েকে ঘিরে ফেলে তখন সহপাঠী ওকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে হস্টেল অনেক দূরে। এখানে কোনও নিরাপত্তা নেই। এমন একটা ভয়াবহ ঘটনা কীভাবে ঘটে গেল? কোনও পদক্ষেপ এখনও করা হয়নি। কোনও সিস্টেম নেই এখানে। কোনও দায়িত্ব নেই।'
বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার মাও। তাঁর কথায়, 'মেয়েকে ধর্ষণ করার পর মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছিল। আর তা ফেরত দেওয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা চেয়েছিল। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। মেয়ে তো ক্যাম্পাসের বাইরে যেতেও চায়নি। তাঁকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে এক সহপাঠী নিয়ে যায়।' যারা এই কাজ করেছে তারা মেয়েরই সহপাঠী বলে কার্যত ইঙ্গিত করেছেন তাঁর মা।
এই নিয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিহত নির্যাতিতার বাবাও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, '৩ দিনে ৩ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমার মেয়ের মরদেহপড়ে রয়েছে, FIR টাও আমা নিজেকে লিখে হয়েছিল। পুলিশ আমাদের একা কথাও শোনেনি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। এই মেয়েটিও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এ রাজ্যে এসেছিল পড়তে। দেখুন ওর সঙ্গে কী হল। সমাজ ধর্ষিতাদের ভাল চোখে দেখে না। প্রশাসন কিছুই করে না। নির্বাচন এলে এ সরকারকে হটিয়ে দেওয়া উচিত।'