Durgapur Incident: দুর্গাপুর গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে সহপাঠীর ভূমিকা, কী বক্তব্য কলেজ কর্তৃপক্ষের?

দুর্গাপুরে ওড়িশার তরুণী, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সহপাঠীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কীভাবে তাদের জালে ধরা পড়ল ৩ অভিযুক্ত। কী বলছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ? হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থাই বা কী?

Advertisement
 দুর্গাপুর গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে সহপাঠীর ভূমিকা, কী বক্তব্য কলেজ কর্তৃপক্ষের?দুর্গাপুরের ঘটনায় স্ক্যানারে নির্যাতিতার সহপাঠীও
হাইলাইটস
  • নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ
  • কী বলছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ?
  • এখন কেমন আছেন নির্যাতিতা?

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে জানানো হয়েছে, ধৃতদের মোবাইল ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে এই নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে, তা উদ্ধারের চেষ্টায় তদন্তকারীরা। ক্যাম্পাসের কেউ অথবা এই ঘটনায় মেয়েটির কোনও সহপাঠী জড়িত রয়েছে কি না, সেই দিকটিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নির্যাতিতার মা-বাবার পক্ষ থেকেও সহপাঠীর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সহপাঠী নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। 

ঘটনায় জড়িত নির্যাতিতার সহপাঠী?
ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা এই মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়াকে দুর্গাপুরের ওই কলেজের পিছনের জঙ্গলেই টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা-মা। তাঁদের বক্তব্য, সহপাঠীর সঙ্গে অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাবার খেতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সে সময়েই তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, সে বন্ধুটির সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে মেয়েটি বেরিয়েছিল, তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার ফোন থেকে কল করেই নিজেদের সঙ্গীসাথীদের ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযুক্তরা। ফলে তাদের খুঁজে বের করা আরও সহজ হয় পুলিশের কাছে। শনিবার দিনভর কলেজ লাগোয়া জঙ্গলে তল্লাশি চলেছে। ফরেন্সিক টিমও নমুনা সংগ্রহ করেছে।  

কেমন আছেন নির্যাতিতা?
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে নির্যাতিতার। যে মেডিক্যাল কলেজের তিনি ছাত্রী, সেই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যেই পুলিশকে বয়ান দিয়েছেন তিনি। রবিবার রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কথা বলবেন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গেও। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে দেখা করবে অভয়া মঞ্চের প্রতিনিধিরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের সদস্য ডা: কৌশিক চাকিও পৌঁছবেন রবিবার দুপুরেই। গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেদ প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝিও। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারি এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

কী বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ?

নির্যাতিতা এবং তাঁর সেই সহপাঠী, দু'জনেই এ বছর MBBS-এর দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী। জানা যায়, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে তাঁরা রেজিস্টারে সই করে ক্যাম্পাস থেকে খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছেলেটি ফিরে আসেন। মেন গেটের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার ৪-৫ মিনিট পর রাস্তার দিকে হেঁটে যান ছেলেটি এবং মেয়েটিকে সঙ্গে করে নিয়ে ফিরে আসেন ক্যাম্পাসে। সে সময়ে নির্যাতিতা কিংবা তাঁর বন্ধু, কেউই কোনও অভিযোগ করেননি। এমনটাই জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের মুখপাত্র সুদর্শনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, 'রাতে মেয়েটি আমাদের জানিয়েছিল ওর ফোন হারিয়ে গিয়েছে এবং যৌন নিগ্রহ হয়েছে তাঁর সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিনকে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানাই। প্রিন্সিপাল এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওকে ভর্তি করেন। বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আপাতত স্থিতিশীল। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে ওর শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতির দিকে খেয়ার রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের কলেজের সমস্ত অধ্যাপক এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা সে দিকেই খেয়াল রাখছেন।' পুলিশের সঙ্গে কলেজের পক্ষ থেকে সবরকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে সুদর্শনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, 'মেয়েটির মা-বাবার প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। তবে যেহেতু দু'জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ইচ্ছেতেই তাঁরা ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিল, সেখানে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি আসে না। ক্যাম্পাসের মেন গেট পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে।'

 

POST A COMMENT
Advertisement