তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের দুর্গাপুরের গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে করা 'পরিসংখ্যানগত' মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল। 'সমাজে একটা দু'টো এমন ঘটনা ঘটতেই পারে বলে মনে করছেন তিনি।
দোষীরা উপযুক্ত শান্তি পাবে, এ কথা বলার পরও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের সাংসদ বলেন, 'রিপোর্ট কীভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে, সেটাও দেখতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক ঘটনা কী কী ঘটেছে সেটা দেখানো হচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে দেখানো হচ্ছে নেচিবাচক দিকগুলি এবং অনেক ক্ষেত্রে আবার পরিসংখ্যানগত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, প্রত্যেকটি সমাজেই এমন দু'একটা করে ঘটনা ঘটে থাকে। বিশ্বে এমন কোনও দেশ দেখবেন না, যেখানে এমন ধরনের ঘটনা ঘটে না।' এরপরই তিনি অবশ্য বলেন, 'আমরা মনে করি এটি অত্যন্ত জঘন্য একটি ঘটনা। দোষীর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।'
'অপরাজিতা বিল'-এর কথা স্মরণ করিয়ে কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশ করানো হয়েছে এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে দোষীদের শাস্তি প্রদানের জন্য। কিন্তু কেন্দ্র সেটা পাশ হতে দিচ্ছে না। বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পড়ে রয়েছে। এবার কেন্দ্র যা করে, রাষ্ট্রপতিজিও তাই করেন। অতএব বুঝতেই পারছেন।'
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন দুর্গাপুরের গণধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'কেউ সমর্থন করে না। অত্যন্ত মর্মান্তিক। তবে ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কীভাবে মেয়েটি ক্যাম্পাসের বাইরে গেল। জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বেসরকারি কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। নির্যাতিতা বয়ান দিয়েছেন শুনেছি। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' এখানেই শেষ নয়। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে যেন তাঁরা না বেরোয়। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব আছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না।'