Durgapur Gangrape Case: দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত কারা? প্রকাশ্যে এল ধৃতদের পরিচয়

দুর্গাপুর গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৫ অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। কোথায় কাজ করে তারা? কী তাদের পরিচয়? নির্যাতিতার উপর কি পূর্বে কোনও রাগ ছিল এদের কারও?

Advertisement
দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত কারা? প্রকাশ্যে এল ধৃতদের পরিচয়ধৃত অভিযুক্ত ধর্ষকরা
হাইলাইটস
  • গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৫ অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় মিলল
  • কোথায় কাজ করে এই ৪ জন?
  • নির্যাতিতার সঙ্গে কি পূর্বে কোনও পরিচয় ছিল?

সেদিন রাতে দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া পরানগঞ্জের জঙ্গলে ঠিক কী ঘটেছিল তা ইতিমধ্যেই পুলিশি বয়ানে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। যে ৫ জন তাঁর উপর যৌন নিগ্রহ চালিয়েছিল, তাদের সকলকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের পরিচয়ও। 

অভিযুক্ত কারা? 
জানা গিয়েছে, যে ৫ জন অভিযুক্ত ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজন ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী। একজন হাসপাতালে কাজ করে, একজন পুরসভার ঠিকাকর্মী এবং আর একজন বেকার। তবে এদের সঙ্গে নির্যাতিতার পূর্বের কোনও পরিচয় ছিল কি না, তা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি। 

শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের অভিযুক্তদের নাম, শেখ নাসিরুউদ্দিন,  শেখ রেয়াজউদ্দিন, শেখ ফেরদৌস এবং শেখ সফিকুল। প্রত্যেকের বাড়ি বিজড়া গ্রামে। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, শেখ নাসিরুউদ্দিন তৃণমূলের ক্যাডার। 

ঘটনার পুনর্নির্মাণ
উল্লেখ্য, ওড়িশার বাসিন্দা দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটনার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন এক সহপাঠী। তাঁকে নিয়ে এদিন পরানগঞ্জের জঙ্গলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। তার আগে অভিযুক্ত ৫ জনকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘচটনাস্থলে। এই পরানগঞ্জ জঙ্গলের পাশেই বিজয়া গ্রামে দুই অভিযুক্ত রেয়াজুদ্দিন এবং নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় ঘটনার রাতের পোশাক। ধৃতদের পোশাকগুলি ইতিমধ্যেই ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার মেডিকো-লিগাল পরীক্ষা করা হবে অভিযুক্তদের। 

কেমন আছেন নির্যাতিতা? 

দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে তাঁর বাবা মনে করছেন, এ রাজ্যে মেয়ে নিরাপদ নয়। তাঁর প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। ফলে তিনি ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান মেয়েকে। ইতিমধ্যেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি নির্যাতিতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সবরকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। 

 

POST A COMMENT
Advertisement