পুজোর মুখে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রথম দফাতেই ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে পাঞ্চেত, মাইথন ড্যাম থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নিম্নচাপ এখনও ঝাড়খণ্ডেই রয়েছে। তার গতি খুবই ধীর। সহজে দুর্বলও হবে না নিম্নচাপ। ফলে আরও অন্তত ৩-৪ দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা।
গতকাল আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টি আপাতত চলবে। সোম, মঙ্গল, বুধ তো বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি চলবেই! আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বুধবার বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে কোনও কোনও জেলায় টানা ৩-৪ দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে ঝাড়খণ্ডেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। ফলে ডিভিসি জল ছাড়লে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে নিম্ন দামোদর উপত্যকায়। বুধবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও।
এদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম। ক্রমাগত বাড়ছে ডুলুং নদীর জল। ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের সাথে জামবনি ব্লকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে লরি। জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর থাকা কজওয়ের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। এই রাস্তার উপর দিয়ে পণ্য বাহি লরি যাতায়াত করে ভিনে রাজ্যে। ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ।
সোমবারও নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের ওপরেই রয়েছে। সেখানে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পাঞ্চেতে তেনুঘাট ড্যাম ও মাইথনে তিন্নাইয়া ড্যাম থেকে জল আসে। দুটো জলাধারের জল যখন এখানে পড়ছে, স্বাভাবিকভাবেই জলস্তর বাড়ছে। নির্দিষ্ট বহন ক্ষমতা পেরিয়ে গেলেই জল ছাড়া হয়। এতটাই এখন জল জমে রয়েছে, যে প্রথম দফাতেই এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।