রাজ্য সরকারের আর্জি সত্ত্বেও জল ছাড়তে শুরু করল ডিভিসি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১.২০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই জল ছাড়ছে DVC।এমতাবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে নবান্ন।
গত ৪-৫ দিনে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির ফলে বাঁধ রক্ষার স্বার্থেই জল ছাড়ছে ডিভিসি। এদিকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নদীগুলির জলস্তর বেড়ে বন্যার মতো পরিস্থিতির আশঙ্কায় রাজ্য সরকার। রবিবার সকাল থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। এই জল ছাড়ার ফলে হাওড়া,হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বেশ কিছু অংশে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই তাই সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি, যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং আরও অনেক জেলায় অবিরাম বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়েছে। ডিভিসিও জল ছেড়েই যাচ্ছে। তাই, আমরা সবাইকে সতর্ক থাকতে বলব।'
তিনি আরও বলেন, 'কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ভারী বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।'
তবে সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার মনে করছে, DVC বিভিন্ন বাঁধের মাধ্যমে জল ছাড়ার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না।
আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'ডিভিসি আগামিদিনে আরও বেশি জল ছাড়বে। এতে সবারই সমস্যা হতে পারে। আতঙ্কিত হবেন না। তবে খুব সতর্ক থাকুন। আগামী ৫ থেকে ৭ অগাস্ট উচ্চ জোয়ারের কারণে কিছু সমস্যা হতে পারে। ডিভিসি থেকে ১ লাখ কিউসেক জল না ছাড়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। অন্যথায় অনেক জায়গায় বন্যার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-সহ সব সরকারি আধিকারিকদের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'