রাতারাতি কোটিপতি, ৩৫ টাকার লটারিতেই ভাগ্যবদল পূর্ব বর্ধমানের গৃহবধূর

মাত্র পঁয়ত্রিশ টাকার লটারির টিকিটে বদলে গেল বাংলার এক গৃহবধূর ভবিষ্যৎ। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার অন্তর্গত বিল্লগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলাড়ি গ্রামের গৃহবধূ ডলি বেগম লটারির টিকিট কেটে হয়ে গেলেন কোটিপতি।

Advertisement
রাতারাতি কোটিপতি, ৩৫ টাকার লটারিতেই ভাগ্যবদল পূর্ব বর্ধমানের গৃহবধূর৩৫ টাকার লটারিতেই ভাগ্যবদল পূর্ব বর্ধমানের গৃহবধূর
হাইলাইটস
  • লটারির টিকিটে বদলে গেল বাংলার এক গৃহবধূর ভবিষ্যৎ।
  • গৃহবধূ ডলি বেগম লটারির টিকিট কেটে হয়ে গেলেন কোটিপতি।
  • সামান্য টিকিটই তাঁকে এনে দিয়েছে এক কোটি টাকার বিশাল পুরস্কার।

একেই বলে ভাগ্য বদল। মাত্র পঁয়ত্রিশ টাকার লটারির টিকিটে বদলে গেল বাংলার এক গৃহবধূর ভবিষ্যৎ।  পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার অন্তর্গত বিল্লগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলাড়ি গ্রামের গৃহবধূ ডলি বেগম লটারির টিকিট কেটে হয়ে গেলেন কোটিপতি।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গুসকরায় গিয়েছিলেন ডলি বেগম। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বড়া চৌমাথায় একটি দোকান থেকে ৩৫ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কেনেন তিনি। নিয়তি যেন সেদিনই অপেক্ষা করছিল। ফলাফল ঘোষণার পর ডলি জানতে পারেন, সেই সামান্য টিকিটই তাঁকে এনে দিয়েছে এক কোটি টাকার বিশাল পুরস্কার।

ডলি বেগমের স্বামী মফিজুল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। সীমিত আয়ে সংসার চালিয়ে এক ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করছেন তাঁরা। নিজেও সেলাইয়ের কাজ করে পরিবারের আয়ে সামান্য হলেও হাত বাড়ান ডলি। প্রতিদিনের সংগ্রাম, অভাবের সঙ্গে লড়াই—এ সবকিছুর মধ্যেই চলছিল তাঁদের জীবন। কিন্তু এবার রাতারাতি ভাগ্যবদল। ডলি বেগম জানান, “এই টাকা দিয়ে কিছু জমি কিনতে চাই। আর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন—ছেলে-মেয়েদের  ভালো ভবিষ্যৎ দিতে চাই।"

মা মনসা লটারি কাউন্টারের মালিক শ্যামল দে বলেন,  "বড়া চৌমাথায় আমার লটারির দোকান। এখান থেকেই হয়েছে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছি। যে জিতেছে শুনলাম তার নাম ডলি। আমার ২২ বছরের ব্যবসা। বহু পুরস্কার আমার দোকানে জিতেছে। ১৮ লক্ষ, ৯ লক্ষের দুটো , এক লাখ টাকা তো অনেকবার হয়েছে । কিন্তু এক কোটি এই প্রথম হল।  যে এক কোটি জিতেছে সে খুব গরীব মানুষ। টাকাটা তাঁর কাজে লাগবে।"

POST A COMMENT
Advertisement