Eastern Rail: শিয়ালদা সাউথে ২টি লাইনে 'নো ক্রশিং', ডাবল লাইনের কাজ শুরু

বাংলার শহরতলির রেল পরিষেবার খোলনলচে পাল্টে যাচ্ছে। পূর্ব রেলের শিয়ালদা বিভাগের অধীনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডাবল-লাইন প্রকল্পের জন্য রেলওয়ে বোর্ড চূড়ান্ত অবস্থান সমীক্ষা (Final Location Survey - FLS) অনুমোদন দিয়েছে। এই পদক্ষেপে রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রেল সংযোগ আরও মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement
শিয়ালদা সাউথে ২টি লাইনে 'নো ক্রশিং', ডাবল লাইনের কাজ শুরুমাতৃভূমি লোকালেও উঠতে পারবেন পুরুষরা, শিয়ালদার যাত্রীদের জন্য বড় খবর
হাইলাইটস
  • বাংলার শহরতলির রেল পরিষেবার খোলনলচে পাল্টে যাচ্ছে।
  • পূর্ব রেলের শিয়ালদা বিভাগের অধীনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডাবল-লাইন প্রকল্পের জন্য রেলওয়ে বোর্ড চূড়ান্ত অবস্থান সমীক্ষা (Final Location Survey - FLS) অনুমোদন দিয়েছে।

বাংলার শহরতলির রেল পরিষেবার খোলনলচে পাল্টে যাচ্ছে। পূর্ব রেলের শিয়ালদা বিভাগের অধীনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডাবল-লাইন প্রকল্পের জন্য রেলওয়ে বোর্ড চূড়ান্ত অবস্থান সমীক্ষা (Final Location Survey - FLS) অনুমোদন দিয়েছে। এই পদক্ষেপে রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রেল সংযোগ আরও মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুমোদিত FLS-এর আওতায় এসেছে
১️. চম্পাপুকুর থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত ১৬.৫৪ কিলোমিটার অংশ, যা অসম্পূর্ণ বারাসত-হাসনাবাদ ডাবল লাইন প্রকল্পের অন্তর্গত।
২️. লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে নামখানা পর্যন্ত ৪৬.৫৫ কিলোমিটার অংশ, যা দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকূলবর্তী রেলপথ।

এই অনুমোদন ২৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে উভয় প্রকল্পের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (DPR) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

চম্পাপুকুর–হাসনাবাদ সেকশন
বর্তমানে এই অংশে একটিই লাইন। এবং প্রতিদিন প্রায় ২৩ জোড়া ইএমইউ পরিষেবা চলে। রেল সূত্রে জানা গেছে, লাইনটি প্রায় ১০০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে, ফলে ট্রেন ক্রসিংয়ের কারণে প্রায়ই দেরি হচ্ছে।

পূর্ব রেলের এক অফিসার জানিয়েছেন, 'লাইনটি দ্বিগুণ হলে বসিরহাট, ভৈবলা হল্ট, মাতানিয়া অনন্তপুর, মধ্যমপুর, নিমদান্রি ও টাকি রোড স্টেশনগুলিতে ট্রেন চলাচল আরও নির্বিঘ্ন হবে।”

স্থানীয় মানুষেরও প্রত্যাশা বেড়েছে। বসিরহাটের কাছে উত্তর দেবীপুরের বাসিন্দারা চম্পাপুকুর ও ভ্যাবলা হল্টের মধ্যে একটি নতুন স্টপেজের দাবি জানিয়েছেন। গত ২৮ আগস্ট চম্পাপুকুর স্টেশনে গ্রামবাসীরা এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

 লক্ষ্মীকান্তপুর–নামখানা প্রকল্প
দ্বিতীয় অনুমোদিত প্রকল্পটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর্যটন ও তীর্থস্থান সংযোগের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রেললাইন গঙ্গাসাগর, বাকখালি ও হেনরি’স আইল্যান্ডের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যগুলিতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।

প্রস্তাবিত ডাবল-লাইন হলে উদয়রামপুর, কালওয়ান হল্ট, করঞ্জলি হল্ট, নিশ্চিন্দাপুর, কাশীনগর হল্ট, কোয়াকদ্বীপ ও উকিলের হাট স্টেশনের মাধ্যমে সংযোগ ও পরিষেবা উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

রেল কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে সুন্দরবন অঞ্চলে পর্যটন ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ উভয় ক্ষেত্রেই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। যাত্রী সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রেন চলাচলের দক্ষতাও অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

সার্বিক প্রভাব
রেল বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত বাংলার শহরতলির পরিবহণে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উন্নত রেল নেটওয়ার্ক কেবলমাত্র কর্মসংস্থান ও যাতায়াত সহজ করবে না, বরং রাজ্যের উত্তর-দক্ষিণ সংযোগকেও আরও গতিশীল করে তুলবে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement