Bratya Basu: রাজ্য বনাম রাজভবন সংঘাত অব্যাহত। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ডিনারে উপস্থিত হন রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আলিপুরের একটি হোটেলে নৈশভোজের আয়োজন হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপস্থিত উপাচার্যদের 'ক্রীতদাস' বলে আক্রমণ করেন তিনি।
এমনিতেই দিন কয়েক আগে ব্রাত্য বসুর ডাকা বৈঠকে হাজির হননি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা। হাতে গোনা কয়েকজন উপাচার্যই আসেন। রাজ্যপলের নির্দেশে তাঁরা ব্রাত্যের ডাকা বৈঠক অমান্য করেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই ক্ষোভের আঁচ মেটার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বৃহস্পতিবার একটি ট্যুইটে ব্রাত্য লেখেন, "মিস্টার বন্ডের (বা স্বপন কুমারের দীপক চট্টোপাধ্যায়) দ্বারা "স্বীকৃত" রাজ্যের ৫ জন ক্রীতদাস উপাচার্য এক কেন্দ্রীয় বিজেপি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। আশা করি মহামান্য আদালত তা দেখছেন!" শুধু উপাচার্যরাই নন, ব্রাত্যের আক্রমণ 'মিস্টার বন্ড' রাজ্যপালকেও।
প্রসঙ্গত, এদিন দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বলেন, "উপাচার্য নিয়োগের অধিকার রাজ্যপালের রয়েছে। শিক্ষায় নাক না গলিয়ে রাজ্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করুক।" তিনি আরও বলেন, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্ব থাকার কথা নিরপেক্ষ ব্যক্তির হাতে। রাজ্যপাল নিরপেক্ষ পদ। ওনার উপাচার্য নিয়োগের এক্তিয়ার রয়েছে। আর রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছেন।