মঙ্গলবার ‘উন্নয়নের পাঁচালি’র মঞ্চে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Mamata Banerjee on egg prices: ডিমের দাম বাড়ছে। খুচরো বাজারে প্রতি পিস ৮ টাকা, কোথাও তারও বেশি। শীত পড়লেই ডিমের দাম বাড়ে ঠিকই, কিন্তু হঠাৎ এমন উর্ধ্বগতি আগে দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মাঝে মঙ্গলবার ‘উন্নয়নের পাঁচালি’র মঞ্চে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রশাসনিক পদাধিকারীরা।
মমতার অভিযোগ, ডিমের দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে ভিনরাজ্য থেকে আসা মুরগির খাবারের (ফিড) অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। তাঁর কথায়, 'যাঁরা ডিম নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের বলি; আমরা এখন ১২টি রাজ্যে ডিম সরবরাহ করি। ফিডের দাম প্রতিবছর ১২% করে কারা বাড়াচ্ছেন? গিয়ে নিজের নেতাদের জিজ্ঞাসা করুন।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্য চাষ বাড়িয়ে ফিডের জোগান ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। 'কিন্তু আপনারা দাম বাড়িয়েই যাচ্ছেন। বাইরে দাঁড়িয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলছেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কিছু টিম বানিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। মিথ্যে কথা বলবেন না', বলেন মমতা।
এ দিকে খুচরো ও পাইকারি বাজারের অঙ্কেও দামের ফারাক স্পষ্ট। পোলট্রি ফেডারেশনের দাবি, পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম ৬ টাকা ৮০ পয়সা। খুচরো স্তরে অতিরিক্ত দাম নেওয়াকেও দায়ী করছে সেই সংগঠন। ফেডারেশনের বক্তব্য, উৎপাদন খরচ বেড়েছে ঠিকই, তবে খুচরো বাজারেও কেউ কেউ বাড়তি দাম চাপাচ্ছে।
এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ রাজ্যে ডিম উৎপাদনে শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানকার পোলট্রি ফার্ম মালিকরাও মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ তুলছেন। পোলট্রি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেজি প্রতি মুরগির খাবারের দাম ৩ থেকে ১০ টাকা পর্যন্তও বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে ডিম প্রতি উৎপাদনের খরচও ৭৫ থেকে ৮০ পয়সা বেড়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে বন্যার কারণেও খাবারের দাম বাড়তে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলেক।ডিম উৎপাদনকারী মুরগির অন্যতম খাবার বাদামের খোল। সেগুলিরও দাম বেড়েছে। এই বাদাম খোল মূলত গুজরাত ও রাজস্থান থেকে আসে।
সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত বাঙালির ‘সস্তার প্রোটিন ডিমই যেন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর সেই ইস্যুই এবার উঠে এল রাজনীতির ময়দানে।