এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্রমেই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। বুধবার সকালে এলাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, 'রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর এক মিনিটও চেয়ারে থাকা উচিত নয়'। প্রসঙ্গত, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিন এগরায় ২৫ হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল করার হুঁশিয়ারিও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এবার শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, 'যে বিস্ফোরণ হয়েছে কেউ ডিফেন্ড করছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধর্ম পালন করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেওছেন অন্য কোনও এজেন্সি করলে আপত্তি নেই। কিন্তু দলগতভাবে আমরা মনে করি এখানে অন্য কোনও এজেন্সি মানে বিজেপিকে আরাল করা। শুভেন্দুরা এনআইএ চায় কেন? বিজেপি আরাল করতে। শুভেন্দু অধিকারী সম্পূর্ণভাবে নিজেকে বিজেপির গুডবুকে রাখার জন্য, ওখানে মিছিল করবে বলছে। বাংলায় গণতন্ত্র আছে বলে ও অতদূর যেতে পেরেছে। ও কী ১০ হাজার লোক দেখাচ্ছে? আসলে অবসাদে ভুগছে'।
এদিকে এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মানস ভুঁইঞা, দোলা সেনের মতো তৃণমূল নেতানেত্রীরা। তাঁদের দেখে ওঠে 'চোর হঠাও' স্লোগানও। যদিও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফে জানান হয়েছে, সরকার দুর্গতদের পরিবারের পাশে আছে। এটা ছোট রাজনীতির সময় নয়। এদিন শুভেন্দু অধিকারী খাদিকুল থেকে চলে যাওয়ার পরেই সেখানে যায় তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধ দল। তবে গ্রামে ঢোকর পরেই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। কোনওরকমে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ফিরে যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন আইজি সিআইডি বিশাল গর্গের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফরেন্সিক দলেরও পৌঁছানোর কথা এলাকায়।
আরও পড়ুন - আবাসনের ১৮-তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে 'আত্মঘাতী' তরুণী, কামালগাজিতে চাঞ্চল্য