রাজ্যের ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ৭ জেলার জেলাশাসককে EVM ও VVPAT পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।
চিঠিতে আরিজ আফতাবের জেলাশাসকদের প্রতি নির্দেশ, ২০২১ বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রথম দফার EVM ও VVPAT পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এই কাজ করার সময় যাতে যথাযথ Covid বিধি মানা হয়, সেদিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে নির্বাচন কমিশমের এই প্রস্তুতির খবর সামনে আসার পর অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যের ৭ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গেল। কবে ভোট হবে তা নিয়ে এখনও কমিশনের তরফে কথা না বলাও হলেও আরিজ আফতাবের আজকের নির্দেশ থেকে পরিষ্কার, তাঁরা ভোটগ্রহণের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর, খড়দা, জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জ, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবা- এই ৭ আসনে উপনির্বাচন হবে। তবে সবার নজর ভবানীপুর কেন্দ্রের দিকে। কারণ, ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই আসনে BJP-র রুদ্রনীল ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে পরে তিনি ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, তিনি লড়বেন খড়দা আসন থেকে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে BJP কাদের প্রার্থী করবে তা এখনও জানা যায়নি।
নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেও এখনই ভোটের পক্ষে নয় গেরুয়া শিবির। এই কথা দিন কয়েক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, BJP-র অবস্থান স্পষ্ট। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাঁরা উপনির্বাচনে যেতে চান না। সেই কারণে উত্তরাখণ্ডেও তাঁরা NON MLA-কে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নামিয়ে নির্বাচিত বিধায়ককেই ওই পদে বসিয়েছেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস উপ-নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'উপনির্বাচন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কেন করছে তৃণমূল? গত ৪ বছরে যারা রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভা এমনকী কলেজ নির্বাচনও করতে পারেনি, তাড়া এখন উঠেপড়ে লেগেছে কেন?'
এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের থেকে আগেই জানতে চেয়েছিল, রাজ্যের শূন্য রাজ্যসভার আসন ২টিতে উপনির্বাচন এখনই করা যাবে কিনা। সে বিষয়েও তথ্য রাজ্যের তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে জানায় রাজ্যের ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন ছাড়াও রাজ্যের শূন্য রাজ্যসভার ২ টি আসনেও উপনির্বাচন করা সম্ভব।