চলতি বছরেই দক্ষিণবঙ্গে হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ গ্রামবাসী। সবথেকে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবায়। সেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik Candidate) এক ছাত্রকে পায়ে পিষে মেরে ফেলে দলছুট এক দাঁতাল। এর পরেই রাজ্য জুড়ে হাতি নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়ে বন দপ্তরে।
সম্প্রতি হাতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বন দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (সমগ্র বনবল শীর্ষ) সৌমিত্র দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, অবাধ্য আচরণ করা ১০টি হাতিকে বন্দি করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে লোকালয়ে তাণ্ডব চালানো এমনই ৩টি হাতিকে পাকড়াও করা হয়েছে। পরিস্থিত বুঝে আগামী দিনে বাকিগুলিকেও ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বন দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০টি হাতি। তার মধ্যে বাঁকুড়াতেই রয়েছে ৭১টি। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এক ডিভিশনের সঙ্গে অন্য ডিভিশনের সমন্বয় বজায় রেখে হাতিদের নিয়ন্ত্রণ করতে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
সবথেকে বিপজ্জনক হাতি হিসেবে ৩টি হাতিকে দক্ষিণবঙ্গ থেকে তাড়ানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ওরকম আরও ৭টি হাতি। আলিপুরদুয়ারের বক্সা টাইগার রিজার্ভে দুটি হাতি পাঠানো হয়েছে, যেখানে বনগুলি দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় বড় এবং হাতিদের জন্য বেশি বাসযোগ্য, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শুক্রবার, একটি হাতিকে পূর্ব বর্ধমান থেকে তাড়িয়ে ঝাড়গ্রামের একটি জঙ্গলে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে হাতির হানায়। ২১-২২ সালে ওই সংখ্যা ছিল ৭৬ জন। শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলাতেই গত বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন-নিশীথের কনভয়ে হামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট