কঙ্কাল-কাণ্ড (Skeleton Case)-এর সব তথ্য জানিয়ে দেব। সোমবার কলকাতায় এসে এই হুঙ্কার দিলেন সিপিআইএম নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। এদিন তিনি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের রাজ্য দপ্তরs গিয়েছিলেন। ৬ ডিসেম্বর শালবনী (Shalboni)-তে সভা করার কথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, দল যা বলবে তা-ই করবেন।
বেশ কিছুদিন বাদে সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরে এসেছিলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি করেছেন, কঙ্কাল-কাণ্ডে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল তিনি নির্দোষ কি দোষী- সব সামনে আসবে। তার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
কঙ্কাল-কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুশান্ত বলেন, "কঙ্কাল কীভাবে, কোথা থেকে এল, এবার সব জানতে পারবেন মানুষ। অনেক কুৎসা রটানো হয়েছিল মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল। যখনই আদালতে একটি মামলা থেকে ছাড় মিলেছে, তখনই অন্য মামলা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
এদিন সুশান্তবাবু আরও বলেন, "সব সামনে আসবে। অপেক্ষা করুন। বহু পুরনো মৃতদেহের পাশ থেকে কীভাবে স্যান্ডো গেঞ্জি পাওয়া গেল, তার রহস্য খুলবে। অনেক ছবি দেখতে পারবেন ৬ ডিসেম্বর।"
সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর তিনি শালবনীতে যাচ্ছেন। সেখানে মিছিল করে ঢুকবে নিজের কেন্দ্র গরবেতা। সেখানে যোগ দেবেন অজস্র মানুষ।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তিনি নিজের এলাকা গড়বেতায় ঢুকতে পারবেন। বছর নয়েক পর তিনি নিজের এলাকায় ফিরতে পারছেন। রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তনের পরে কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে। পরে আদালতে জামিন পেলেও নিজের জেলা অর্থাৎ পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢোকার অনুমতি পাননি। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে দীর্ঘদিন যেতে পারেননি। তবে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, তিনি গড়বেতা যেতে পারবেন। ফলে এখন আর সেখানে আর কোনও বাধা নেই।
দলের একাংশের কর্মীদের মধ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়। দল যাতে তাঁকে পুরোদমে কাজে লাগায়, সে ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মী-সমর্থকেরা প্রচার চালান। তাঁকে তুলনা করা হয় বাঘের সঙ্গে। দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ তাঁকে 'টাইগার' বলেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, টাইগার কিনা জানি না। তবে লাল ঝান্ডা নিয়ে মাঠে নামব। দল যা বলবে তাই করব।
কঙ্কাল কাণ্ডে অভিযুক্ত সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। প্রথমবার ছাড়া পাওয়ার পর দল সংশোধনাগারের বাইরে তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেছিল। তবে ২০১৯ সালে দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনি রাজনৈতিক কাজ শুরু করতে পারলে তাঁর দল আরও শক্তি পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।