Expired Medicines: ফের সরকারি হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ, শান্তিপুরে তুঙ্গে বিতর্ক

মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের পর এবার ওষুধ। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীদের মধ্যেও। আর এর ফলে ফের একবার প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা।

Advertisement
ফের সরকারি হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ, শান্তিপুরে তুঙ্গে বিতর্কফাইল ছবি

মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের পর এবার ওষুধ। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীদের মধ্যেও। আর এর ফলে ফের একবার প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিষয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাল পাড়ার বাসিন্দা রাজু ভৌমিক দাঁতের সমস্যার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। ডাক্তার দেখানোর পর তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ওষুধ খেতে গিয়ে তিনি দেখেন, সেটি মেয়াদ উত্তীর্ণ। পুরো বিষয়টিতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলে দাবি করেছেন। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। 

এক্সপায়ার্ড ওষুধ ও প্রেসক্রিপশন
এক্সপায়ার্ড ওষুধ ও প্রেসক্রিপশন

রাজু ভৌমিকের অভিযোগ, অনেক রোগী হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়ে সরাসরি বাড়ি চলে যান এবং না দেখেই তা গ্রহণ করেন। ফলে, যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার দায় কে নেবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

হাসপাতালের সুপার তারক বর্মণ জানিয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন এবং খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর দাবি, প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টাসিড লেখা হয়নি, কিন্তু রোগী বলছেন তাঁকে সেই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে কোনও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নেই এবং সামনে অডিটও রয়েছে।

সংবাদদাতাঃ বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

POST A COMMENT
Advertisement