আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঐতিহ্যের হলং বন বাংলো। কীভাবে আগুন লাগল? এই নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। এখন বন্ধ রয়েছে বাংলো। তারপরেই কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গড়ার কথা জানালেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বীরবাহা বলেন, '১৫ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে বাংলো। কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্তের পরই বলতে পারব। বিনা তদন্তে বলতে পারব না। কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটির মাধ্যমে তদন্ত হবে। কমিটির তদন্তের পরই সঠিক তথ্য বলতে পারব।' একইসঙ্গে মন্ত্রী এ-ও বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে আগুন।'
বিরোধীদের নিশানা করে বীরবাহা আরও বলেছেন, 'রেলের দুর্ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে রাজনীতি করছেন। বিরোধীরা রাজনীতি করার জন্য নানা রকম রাজনীতি করবেন।' সোমবারই শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
মঙ্গলবার রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বনবাংলোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বাংলো।হতাহতের কোনও খবর নেই। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ হলং বাংলোতে আগুন লাগে। বাংলোটি বন্ধ ছিল। শর্টসার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান। এসি ফেটে আগুন ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বাংলোর কর্মীরা। বাংলোয় থাকা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। রাত ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ সেখানে পৌঁছয় দমকলের গাড়ি। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাংলোতে কোনও পর্যটক ছিলেন না।
পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই বাংলো। ভিআইপি থেকে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকরা এই বাংলোতে আসতেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিয়মিত এই বাংলোতে যেতেন জ্যোতি বসু। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বাংলোটি সংস্কার করা হয়েছিল।
অন্য দিকে, গত সপ্তাহেই রাজ্যে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকায় অ্যাক্রোপলিস শপিং মলে বিধ্বংসী আগুন লাগে। মলের চার তলায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শপিং মলের ফায়ার এগজিট পরিষ্কার ছিল না বলে অভিযোগ। ফলে শপিং মল থেকে বেরোতে সমস্যা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম শপিংমল হল অ্যাক্রোপলিস। রোজ বহু মানুষ ভিড় জমান এই শপিং মলে। এই শপিং মলের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহ, বহু দোকান, রেস্তরাঁ রয়েছে। তাছাড়া শপিং মলে রয়েছে একাধিক অফিস।